গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেল ষ্টেশনের কাউন্টারে টিকিট ক্রয় করতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
পুরা ষ্টেশন আর ষ্টেশনের বিশ্রামগারের (মোচাফিরখানা) নতুন ভবন হয়েছে বছর খানেক আগে। নতুন ভবন উঁচু করে করায় পুরাতন ভবনে থাকা টিকিট কাউন্টার ও স্টেশন মাস্টারের রুমটিও নিচুতেই রয়েছে। এতে করে কখনো বসে, কখনো হেলে আবার কখনো শুয়ে থেকেও টিকিট কাটতে দেখা যাচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
কথা হয় টিকিট ক্রয় করতে আসা মিলন মিয়া (৩৩) নামে তিনি বলেন, আমি ঢাকা যাবো এজন্য বামনডাঙ্গা ষ্টেশনে টিকিট ক্রয় করতে এসেছি। ভাই কি আর বলবো জীবনে বহু জায়গা ঘুরেছি ট্রেনে করে বহু ষ্টেশন দেখেছি এরকম অদ্ভুত ষ্টেশন দেখিনি।
আকাশ মিয়া (৩০) নামে এক দিনাজপুর গামী যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে টিকিট নিতে এসে পরেছি চরম দুর্ভোগে একে তো লম্বা লাইন তার মধ্যে প্লাটফর্ম থেকে টিকিট কাউন্টার অনেক নিচুতে হওয়ায় বসা ছাড়া দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে পারছি না।
গাইবান্ধা শহর থেকে বামনডাঙ্গায় আসা রিয়াজুল রিয়াদ নামে এক যুবক ভোরের আকাশকে বলেন, এই ষ্টেশনে অসুস্থ, বয়স্ক, কিংবা নবজাতক শিশু মা টিকিট ক্রয় করতে আসেন, তবে তাদের পক্ষে কিন্তু টিকিট করা একেবারেই দুষ্কর হয়ে যাবে।
গত ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার সময় এই টিকিট কাউন্টারের সামনে সুয়ে থেকে টিকিট ক্রয় করার ছবি ইতি মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেজবুকে) ভাইরাল হয়েছিল এবং নানা রকম সমালোচনা হয়েছে এই অদ্ভুত টিকিট কাউন্টার কে নিয়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, কোটি টাকা ব্যায়ে ষ্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হলেও টিকিট কাউন্টার টির এমন চিত্র ব্যতিক্রম। এভাবে বসে, হেলে, শুয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ায় ঘটেছে আহতের ঘটনাও। বারবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সমাধান মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের মধ্যে বামনডাঙ্গা রেল ষ্টেশনটি আয়ের দিক থেকে অন্যতম স্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। ঐতিহ্যবাহী রেল ষ্টেশনটির এমন অবস্থার দ্রুতই সমাধান চান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ষ্টেশন মাষ্ঠার মো. হাইয়্যুল মিয়া ভোরের আকাশ কে জানান, আমরাও দেখেছি যে ছাত্রীরা কষ্ট করে টিকিট ক্রয় করছেন। বিষয়টি উধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা আছে সরকারী স্থাপনা তো বিভিন্ন নিয়ম নীতি থাকে, এগুলো কাজ চলমান আছে দ্রুতই সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।
ভোরের আকাশ/নি