নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের বুরুঙ্গা খালের ওপর নির্মিত সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে পার হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। দুর্গাপুর থেকে পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলায় যাওয়ার রাস্তার ওপর একমাত্র সেতুটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, জেলার দুর্গাপুর পৌরসভার ভেতর দিয়ে প্রতিনিয়ত ওভার লোড বালু ও পাথর নেয়াসহ ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুর পাটাতনের স্ল্যাবের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া অংশে সিমেন্ট ও সুরকি দিয়ে ঢালাই দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে ভারি যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেতুর পাটাতনে পুনরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, সেতু মেরামত না হওয়ার আগ পর্যন্ত সেতুর ওপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা প্রয়োজন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ দুর্গাপুরে আসেন। সেতু সংস্কার না হলে চরম দুর্ভোগে পড়বে এই অঞ্চলের কৃষকেরা। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে কোনো যানবাহন সেতু পার হতে পারবে না। মাথায় নিয়ে বহন করতে হবে ধান-চালসহ গবাদিপশু ও হাঁস মুরগি। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

এলাকার বাসিন্দা সামছুল হক জানান, অত্র এলাকার হাজারও মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এই সেতু পার হয়ে। সেতুর ওপর দিয়ে বর্তমানে ওভারলোড বালু ও পথর নেয়ার কারণে সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। দুই উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী হাট নাজিরপুর বাজার, সামনে এইচএসসি পরীক্ষা, দ্রুত সংস্কার না হলে বাজারের মালামাল পরিবহনসহ বিপাকে পড়বে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

দুর্গাপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান জানান, বুরুঙ্গা সেতু ভাঙার খবর পেয়েছেন। ওই এলাকার বেশকিছু সেতু ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্বল হয়ে গেছে। সেতু পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। ওই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওয়াতায় দেয়া হয়েছে। অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

ভোরের আকাশ/নি