logo
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০২৩ ১০:০৮
বিদেশি কূটনীতিকদের অস্বাভাবিক তৎপরতা
নিখিল মানখিন

বিদেশি কূটনীতিকদের অস্বাভাবিক তৎপরতা

নিখিল মানখিন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি কূটনৈতিক তৎপরতা ‘অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ বিদেশি কূনীতিকদের আগমন, কথাবার্তা ও আচরণ অনেকটা অস্বাভাবিক।

 

এটা অনেকটা স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ বাংলাদেশের ওপর বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ। অনেক সময় তাদের কাজকর্ম এবং বিএনপি জোটের দাবি যেন মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

 

পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, বাংলাদেশ যেন হয়ে গেছে বিদেশি কূনীতিকদের পর্যটনকেন্দ্র। এক টিমের সফর শেষ না হতেই আগমন ঘটছে আরেকটির। গত কয়েক বছরে নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর বৈদেশিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তা সামাল দিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ। তিক্ততা চরম পর্যায়ে যাওয়ার আগেই দলটি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সুনজরে পড়েছে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকার। বাংলাদেশে আগমন ঘটছে বিশ্বের একের পর এক প্রভাবশালী দেশের প্রতিনিধিদের।

 

২০২২ সালের শেষের দিকে এসে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে শতভাগ ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অগ্নিপরীক্ষায় পড়ে বাংলাদেশ। ক‚টনৈতিক মহলের আলোচিত খবর ছিল র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি, যা বিদায়ী বছরে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঠও উত্তপ্ত করে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে লবিস্ট নিয়োগের কথাও বলেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু নতুন বছরেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি।

 

বৈদেশিক কূটনৈতিক তৎপরতা: ঢাকায় মায়ের ডাকের সমন্বয়কের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের যাওয়াকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক বিতর্ক গড়ায় যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈরিতা পর্যন্ত। এলিট ফোর্স র‌্যাব ও এর ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া বিদায়ী বছরে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ঢাকা-ওয়াশিংটন টানাপড়েন।

 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানিসহ পশ্চিমা কূটনীতিকদের এ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা কথা বলা ও তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে সরকারের বারবার তাগিদের মধ্যেও বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হয়ে ওঠে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ইস্যুতে রুশ-মার্কিন পাল্টাপাল্টি বাগ্বিতন্ডা ফেসবুক, টুইটার ও ঢাকা থেকে মস্কো পর্যন্ত গড়ায়। গত ২২ ডিসেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মস্কো থেকে বিবৃতির মাধ্যমে পিটার হাসের ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা করেন।

 

এর মধ্যেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কিছু জিনিসপত্র বহনকারী রাশিয়ার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ উরসা মেজর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পায়নি।

 

গত বছরের ১৪ নভেম্বর ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতি নাওকি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে দেখতে চায় জাপান।

 

তিনি আরো বলেন, গত নির্বাচনে আগের রাতেই পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল বলে আমি শুনেছি। অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্ত নেই। এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না বলে আশা প্রকাশ করেন জাপানি রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যে বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়ে আওয়ামী লীগ।

 

২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ১৫টি দেশ। বিবৃতি দেয়া দেশগুলো নিজেদের বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচন বিষয়ে অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এখানেও বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগের ওপর।

 

২০২৩ সালের মার্চে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তারসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয় উল্লেখ করে বিদেশি দেশ ও সংস্থাগুলো বিবৃতিতে বিব্রত অবস্থায় পড়ে সরকার।

 

কূটনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। সফর শেষে দেশে ফিরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিদেশি শক্তির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।

 

গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় যৌথ বিবৃতি দেয় ঢাকায় ১২ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধান। এরপর ইইউ এবং ১২ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অসন্তুষ্টির কথা জানানো হয়।

 

সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন টিম, যুক্তরাষ্ট্রের সিভিলিয়ান সিকিউরিটি, ডেমোক্রেসি ও হিউম্যান রাইটসবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, মানবাধিকারবিষয়ক ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাসসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ গত ৬ থেকে ৮ আগস্ট ঢাকা সফর করে গেছেন।

 

এরই মধ্যে আগামী ১২ থেকে ১৫ আগস্ট চার দিনের বাংলাদেশ সফর করবেন ২ মার্কিন কংগ্রেসম্যান রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। বাংলাদেশ সফরে যে ২ কংগ্রেসম্যান আসছেন, তাদের মধ্যে রিচার্ড ম্যাককরমিক রিপাবলিকান দলের এবং এড কেস ডেমোক্র্যাট দলের। এই ২ কংগ্রেস সদস্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।

 

বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে যতটা জড়ায় সেটা কি আর কোথাও দেখা যায়? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো ইস্যুগুলোতে সুযোগ থাকলে কথা সবাই বলবে এবং এসব কারণেই বিদেশি কূটনীতিকদের রাজনৈতিক ইস্যুতে জড়িয়ে পড়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না বাংলাদেশ। আমাদের এখানে এরা যখন হস্তক্ষেপ করেন তখন যারা ক্ষমতায় থাকে তারা চায় না সেটা। এমনকি তারা যদি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাহলেও তারা চাইবে না কেউ কথা বলুক। কিন্তু যে দল বিরোধী থাকে তারা এটাকে পছন্দ করে ও উৎসাহিত করে। প্রতিবেশী ভারতে কখনোই বিদেশিরা এ সুযোগ পায় না বলে জানান তৌহিদ হোসেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, স্বাভাবিকভাবে গণতন্ত্র বা নির্বাচন নিয়ে আমাদের ঘাটতি আছে। সেটা অস্বীকার করলে চলবে না। এই ঘাটতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়, বড় দলগুলোর নিজেদের মধ্যে কোনো আস্থা নেই। বিভাজনের রাজনীতি আছে। এই বিভাজন রাজনীতিই বিদেশিদের জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়।

 

যেসব দেশে ঘাটতি থাকে না সেসব দেশে রাষ্ট্রদূত বা মিশনপ্রধানরা তেমন কিছু বলতে পারে না। যেহেতু আমাদের ঘাটতি আছে সেহেতু তারা সুযোগটি পায়। সুযোগ আমরাই করে দিই। যারা বিরোধী দলে থাকে তখন স্বাভাবিকভাবে তারা নিজেদের অবস্থান ভালো করার জন্য, পত্রপত্রিকায় তাদের অবস্থা জনানোর জন্য, বিদেশিদের মধ্যে প্রচার পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা তুলে ধরেন। তাতে একটা বড় স্পেস তৈরি হয়।

 

তিনি বলেন, প্রশ্ন হতে পারে বিদেশিরা কতখানি গণতন্ত্রের চর্চা করে? কারণ অনেক দেশেই গণতন্ত্রের অভাব আছে। সেখানে তো অত উৎসাহ নিয়ে আসতে দেখা যায় না। তার মানে বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের বড় নজর পড়েছে। এটার বড় কারণ, গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেহেতু পরিবর্তন এসেছে, সেহেতু এখানে বড় ধরনের উন্নয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

 

তাতে বিদেশিরা যারা এতদিন ধরে বিনিয়োগ করেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য করে অন্যভাবে বললে যাদের স্বার্থ রক্ষা করার বিষয়ও আছে তারা সেটি রক্ষা করতে চায়। যেন সম্পর্কের মধ্যে কোনো ধরনের ঝামেলা তৈরি না হয়। গত ১৫ বছরে নজরে না এসে এখন নজরে আসার কারণ, পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে। এ কারণে পশ্চিমা দেশগুলো চায় বাংলাদেশ যেন তাদের সঙ্গেই থাকে। কারণ তারা জানে, অন্য দেশগুলোও প্রতিযোগিতায় আছে।

 

তিনি বলেন, বিদেশিরা যে পদক্ষেপগুলো নেন, সেগুলো আমাদের রাজনীতিবিদরা বোঝেন কিনা আমি জানি না। তারা বিভাজন বাড়ায়। তাদের সম্পৃক্ততা কোনোভাবেই বিভাজন কমায় না। এই বিভাজনটি বাড়ানোয় গণতন্ত্রের কী লাভ হয়? আমাদের রাজনীতিবিদদের কী লাভ হয়, সেটাও বুঝতে পারি না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতাকে এত গুরুত্ব না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেছেন।

 

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটা বুঝতে হবে, বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা আপনার এখানে অশান্তি চায়। অশান্তি হলে, দেশ যদি দুর্বল হয়, তাদের অনেক সুবিধা হয়। এ কারণে ওরা দুর্বল করতে চায়। ওদের এই ভেল্কিতে আপনারা অবগাহন করবেন না, ভেল্কিতে বুঝেশুনে অবস্থান নেবেন।’

 

আ.লীগ হাইকমান্ডের ক্ষোভ: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর শেষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কথা নাই, বার্তা নাই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে আর আমরা ভয়ে মুখ বুজে থাকব কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, যারা আমাদের সপ্তম নৌবহরের ভয় দেখিয়েছিল, সেটাও পার করে বিজয় অর্জন করেছি, এ কথা ভুললে চলবে না। দরকার হলে একবেলা খেয়ে থাকব, তাতেও অসুবিধা নেই। আমাদের ওপর যারা স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু কিনব না, পরিষ্কার কথা। এর মধ্যেই আমি দুটি অ্যাকশন নিয়েছি আগেই।

 

তাতে ভয়ের কী আছে? আমরা তো কারো ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের যা দরকার, আমরা নিজেরাই তো উৎপাদন করতে পারি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশিদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে একই সুরে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

তিনি বলেন, বিদেশিরা নয়, বিদেশিরা বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসাবে এমন অসম্ভব চিন্তা আওয়ামী লীগ করে না। দেশের ক্ষমতার মালিক বিদেশিরা নয়, বরং মালিক হলো দেশের জনগণ। সুতরাং ক্ষমতায় বসাতে হলে বসাবে দেশের জনগণ। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই জনগণের ভোটে। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নাই।

 

শেখ হাসিনা বিদেশি শক্তিকে ভয় পান না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মানসিকতা যার (শেখ হাসিনা), তিনি বিদেশি বা দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের ভয় পাবেন, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

 

ভোরের আকাশ/নি