logo
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ১০:১৩
কলঙ্কিত ১৫ আগস্ট
বাঙালির যে কান্নার শেষ নেই
মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ

বাঙালির যে কান্নার শেষ নেই

সারা দেশে সবাই মিলে/বাজা বাদ্যি বাজা/মাথায় তাঁর ছিল না তাজ/তবুও তিনি রাজা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এভাবেই ‘রাজা’ অ্যাখায়িত করেছেন কবি শামসুর রাহমান। সত্যিই তাই। তাঁর মতো মুকুটহীন সম্রাট বিশ্বের বিস্ময়। এমন সাদাসিধে, এমন জনদরদি, এমন জনবান্ধব নেতা নজিরহীন।

 

তিনি বিশ্বাস করতেন ‘সোনার খাঁচায় বন্দি হয়ে আপেল ফল খেয়ে বাঁচার চেয়ে মুক্ত আকাশে উড়ে উড়ে না খেয়ে মরা শ্রেয়। এই চেতনায় নিমগ্ন থেকে তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্ত বাতাস এনে দিয়েছিলেন। নিজের জীবন বাজি রেখে বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন ছোট্ট একটি সুজলা-সুফলা সুন্দর নতুন দেশ, রূপসী বাংলাদেশ।

 

যার বজ্রকণ্ঠ শুনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অফিসপাড়ার বড় কর্তা থেকে শুরু করে ঘাটের মাঝি, মাঠের কৃষক, কামার-কুমার-জেলে-তাঁতি, নারী-কিশোর-বৃদ্ধ সবাই। যিনি স্বাধীন বাংলায় পা রেখে বিশ্বকবিকে তাঁর কথা ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন ‘কবিগুরু আপনার কথা মিথ্যে সাত কোটি বাঙালি শুধু বাঙাল নয়, মানুষ’।

 

কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে মিশে থাকা কিছু অমানুষ, কিছু রূপকথার রাক্ষস তাকে সপরিবারে হত্যা করে। যিনি মানচিত্র এনে দিয়েছিলেন তার রক্তে ভিজে যায় সেই মানচিত্র। সত্যি হয় সেই প্রবাদ ‘যার জন্য পুতির মা তারেই তুমি চিনলে না’। আজ সেই মহান নেতার ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী। বাঙালির কান্নার দিন।

 

স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সর্বস্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল এবং টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা।

 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। রয়েছে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল।

 

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মূলত, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে।

 

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।

 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেলজয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।

 

বঙ্গবন্ধু প্রতিটি বাঙালিকে আপন ভাবতেন। তারা তাকে হত্যা করতে পারে এমন ভাবনা তিনি কখনো ভাবেননি। কোনো বাঙালি তার কোনো ক্ষতি করতে পারে তিনি এমনটিও ভাবতে পারতেন না তিনি। সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর দেশে বাঁচবার সাধ ছিল তার। সাধারণ মানুষ সহজে তার কাছে যেতে পারতেন। উদাহরণস্বরূপ ‘একদিন বঙ্গবন্ধু গাড়িতে যাচ্ছিলেন, রাস্তায় হঠাৎ তার চোখে পড়ল একটি লোক। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামান। লোকটিকে তুলে নেন।

 

এই লোকটি যে বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকে চিনতেন। কিশোর বয়সে সাইকেলের কোনো সমস্যা হলে ইনি তা মেরামত করে দিতেন। স্কুলে পড়া অবস্থায় নিজেদের ধানের গোলা থেকে ধান বের করে গরিবদের দিতে দিয়েছেন তিনি। নিজের পোশাক দিয়ে দিয়েছেন অন্যকে। কিন্তু যাদের নিয়ে তিনি এত ভেবেছেন তারাই তার প্রাণটা নিতে দ্বিধা করেননি। তার ঘরে (দেশে) বিভাষণ জন্ম হয়েছে এমনটি ভাবেননি। কবির ভাষায় ঘরের শক্র খুনিরা সব/প্রাণ কেড়েছে তাঁর/কিন্তু তাঁরই জিত হয়েছে/খুনির হলো হার।

 

দ্য টাইমস অব লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়, ‘সবকিছু সত্তেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।’ একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ড কে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামি বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন। ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দেয় এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়।

 

১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড দেন। অন্যদিকে, ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় দেন।

 

বিচারক এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদন্ডদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারক এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে বিচারকাজ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে পাঁচ আসামিকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।

 

২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

 

২০২০ সালের ১২ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর আরো একজন খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ৪৫ বছর, নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের মামলার ২৫ বছর এবং উচ্চ আদালতের রায়ে ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের প্রায় ১০ বছর পর গ্রেপ্তার হয় খুনি মাজেদ।

 

অনেকে মনে করেন, একটি বৃহৎ পরাশক্তির ছত্রছায়ায় প্রণীত সুপরিকল্পিত প্রয়াস ছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থান। এ দিনটি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আরো কিছু লোকের হত্যাকান্ডের স্মারক বা আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির ঘটনা নয়। এটি ছিল রাষ্ট্র শাসন এবং সরকারি যন্ত্রের ভিন্ন পথে সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে যাত্রার সূচনা। এই অভ্যুত্থান যেমন ছিল একটি বৃহৎ পরাশক্তির ছত্রছায়ায় প্রণীত সুপরিকল্পিত প্রয়াস, তেমনি এর টাইমিং ছিল গভীর চিন্তাপ্রসূত।

 

মহান নেতার অবর্তমানে অনেক জল গড়িয়েছে। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কিন্তু অন্য কোনো সময়েই মেহনতি মানুষের কাক্সিক্ষত ভাগ্যোন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে তার সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা দু’হাতে দেশ সামলাতে ব্যস্ত, দেশের উন্নয়নে দিন-রাত নিমগ্ন থাকেন। ভাবেন প্রতিটি মানুষের কথা। কারণ তার দেহে তো বঙ্গবন্ধুর রক্ত। বঙ্গবন্ধু আদর্শে দেশ পরিচালনা করছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শুধু শেখ হাসিনা কিংবা শেখ রেহেনার নয় বাংলাদেশে ছায়াসঙ্গি হয়ে আছেন।

 

অন্নদাশঙ্কর রায়ের ভাষায়, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। তার শূন্যতা নিয়ে বেগম সুফিয়া কামালের আক্ষেপ ‘এই বাংলার আকাশ বাতাস/ সাগর-গিরি-নদী/ ডাকছে তোমায় শেখ মুজিব ফিরে আসতে যদি। শামসুর রাহমানের ভাষায়, কুচক্রীরা ঘোরাক যতই/ ইতিহাসের চাকা/কৃষক-মজুর সবার মনে/তাঁর ছবিটাই আঁকা। প্রতিটি জাত বাঙালির অন্তরে কেবল তারই ছবি।

 

ভোরের আকাশ/নি