logo
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০২
কালভার্ট ভেঙে ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি


কালভার্ট ভেঙে ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ

বৈরাগীর চালা সড়কে ভেঙে যাওয়া কালভার্ট পর্যবেক্ষণ করছেন গ্রামবাসী

টানা বৃষ্টিতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওর্য়াডের গুচ্ছগ্রাম এলাকার ফালু মার্কেট বৈরাগীর চালা সড়কটির কালভার্ট ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের অন্তত ৮টি গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে সেখানে সাময়িকভাবে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে মালামাল পরিবহন ও যানবাহন চলাচলের জন্য স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বনরূপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়ার সড়কের আগে এই কালভার্টটি ছিল। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের ওপর নির্মিত কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। এতে এ পথে চলাচলকারী পথচারীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। কালভার্ট ভেঙে গেলে অন্তত ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। এ পথে এখন সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আগে এটি কাঁচা সড়ক ছিল। পরে একটি কালভার্ট করা হয়, ইটের রাস্তা করা হয়। কদিন আগে এ সড়কটি ইটের সলিংসহ ভেঙে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, এতদিন হয়ে গেলেও এখনো কালভার্ট মেরামত করে যাতায়াতের উপযোগী করা হয়নি। এ পথে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেশি যাতায়াত করতে হয়। এ পথে বৈরাগিরচালা, ফালু মার্কেট, মাধখলা, লোহাগাছ, বনরূপা, গুচ্ছগ্রাম, ছাপিলাপাড়া, ভাংনাহাটি, কেওয়া মাস্টারবাড়িসহ অন্তত ৮টি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। এ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সাধারণ রিকশা নিয়মিত চলাচল করত। পাশের স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরাও পড়েছে চরম দুভোর্গে।

 

বনরূপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের স্কুলের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পথে স্কুলে যাতায়াত করে। এ কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার পর স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী স্কুলে এলেও ঝুঁকি নিয়ে পারপার হতে হয়।

 

তিনি বলেন, দ্রুত সময়ে এ কালভার্টটি মেরামত করা হলে জনগণের দুর্ভোগ কমবে। আমাদের স্কুলের শিশুরাও আসতে পারবে নিরাপদে।

 

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাহিদ সরকার জানান, আপাতত স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীর কথা ভেবে সাময়িক পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। এরপর পৌরসভার বাজেট পেলে স্থায়ী মেরামত করা হবে কালভার্টটি।

 

শ্রীপুর পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহেদ আক্তার বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে পৌর বাজেটের ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব। আপাতত অস্থায়ী একটা ব্যবস্থা জরুরি, সাধারণ মানুষের পায়ে চলাচলের জন্য।

 

ভোরের আকাশ/আসা