logo
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২৩ ১৩:১৮
বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ
নিখিল মানখিন

বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ

ভয়াল ২১ আগস্ট আজ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের বিভীষিকার ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের এই দিনটি জাতির কাছে অভিশপ্ত ও কলঙ্কময়। এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সেই রক্তাক্ত বিভীষিকাময় হামলার ১৯তম বার্ষিকী আজ সোমবার। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মানববর্ম রচনায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার শ্রবণশক্তি। প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। তাদের অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং অনেকে দেহে স্পিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এদিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটনায় পাল্টে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। এটিই ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। আঘাতপ্রাপ্ত হয় বিএনপির মসনদ। জোরালো হয় মানবতার আবেদন। দলমত-নির্বিশেষে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার প্রকাশে রাস্তায় নেমে পড়েন দেশের মানুষ। বেড়ে যায় আওযামী লীগের ওপর দেশবাসীর সমবেদনা ও ভালোবাসা। নড়েচড়ে বসে আন্তর্জাতিক মহল। বেগবান হয় আওয়ামী লীগের সরকার পতনের আন্দোলন। ঘটনার গ্রহণযোগ্য জবাবদিহি দিতে না পেরে দেশে-বিদেশে অস্বস্তিতে পড়ে বিএনপি সরকার। আর নেতাকর্মী ও স্বজন হারানোর রক্তাক্তময় অবস্থার মধ্যেও দেশবাসীর ভালোবাসা ও সমবেদনা জয় করে রাজনৈতিক মাঠে ঘুরে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। ২১ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলার খবর মুহূর্তেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ঘটনার পর থেকেই খবরটি প্রচার শুরু করলে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে সারা বিশ্ব থেকেই। ভয়াল এ হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। বিশ^নেতারা এ নৃশংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে তখনকার বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের কাছে তারা বারবার আহ্বান জানান।

 

সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির সমাবেশের সেই ভয়ংকর ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়া দিয়েছিল, যা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন বা ইউরোপ সবাই দফায় দফায় এ নিয়ে তখন বিবৃতি দিয়েছে, কথা বলেছে। ৯/১১-এর হামলার পর তখন এমনিতেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগ ছিল বিশ্বজুড়ে। এমন এক পরিস্থিতিতে ঢাকার সেই ভয়াবহ হামলা সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকেই আরো স্পষ্ট করে তোলে। যে কারণে গ্রেনেড হামলা নিয়ে বেশ উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল পশ্চিমা বিশ্বে ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে। বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার খবর ফলাও করে প্রচার হয়। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই শেখ হাসিনাকে ফোন করেন ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এরপর বিবৃতি দেন সেই সময়ের জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়শকা ফিশার। শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল।

 

২২ আগস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তখনকার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী নাজমউদ্দিন এরবাকান, ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, ভারতীয় লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা এল কে আদভানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিনা রোকা। এছাড়া পৃথকভাবে বিবৃতিও আসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় হাইকমিশনের কাছ থেকে। এসব বিবৃতিতে স্পষ্টভাবেই হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রী সেদিন ঢাকায় আলাদাভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। ২৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। এছাড়া নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির রাষ্ট্রদূতরাও দেখা করে নিজ দেশের সরকারপ্রধানের বার্তা শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত ছাড়াও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের সিনেটর ইকবাল হায়দার।

 

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলে : ‘এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনৈতিক সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিরোধী দলের নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করার এমন কমান্ডো স্টাইল হামলা সফল হলে এটি গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করত।’ মূলত হামলাকে পশ্চিমা দেশগুলো বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার একটি চেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করায় সেটি তখনকার সরকারের ওপরও চাপ তৈরি করে। পাশাপাশি ঢাকায় ইউরোপিয়ান কূটনীতিকরা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে তৎকালীন সরকারকে ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তারা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রী সেদিন ঢাকায় আলাদাভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে সমবেদনা জানান ও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ২৪ অগাস্ট তখনকার জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং পরদিন ২৫ অগাস্ট ঢাকায় বিদেশি দূতাবাসগুলো আবার বিবৃতি দিয়ে ঘটনার তদন্তে সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন, যা তখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এক পর্যায়ে ঢাকায় তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২১ আগস্টের ঘটনা নিয়ে ব্রিফিংয়ের জন্য বিদেশি দূতদের আমন্ত্রণ জানালেও তারা তাতে অংশ নেননি এমন খবরও উঠে আসে গণমাধ্যমে।

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন চাপের মধ্যেই ২৫ আগস্ট কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল ডন ম্যাককিনন শেখ হাসিনাকে ফোন করেন এবং তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। একই দিন জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও পৃথক বিবৃতি দেয়। এর মধ্যে ঘটনা তদন্ত নিয়ে সরকারের কিছু পদক্ষেপ সমালোচনা তৈরি করলে ২৬ অগাস্ট ঢাকায় কূটনৈতিক কোরের ডিন শাহতা জারাবের নেতৃত্বে ১৯ জন কূটনীতিক শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পরে তারা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর গুরুত্ব দেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন ২১ আগস্টের ওই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ও দৃশ্যমান তৎপরতার কারণে তখনকার সরকারের ওপর একটি চাপ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছিলেন বারবার। তাদের এ ধরনের আহ্বান থেকে বোঝা যায়, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে তখন তাদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপি বারবার এফবিআই ও ইন্টারপোলের মতো সংস্থাকে তদন্তে সম্পৃক্ত করার কথা বলছিল, কিন্তু সরকারের নানা পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা আসছিলো আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর দিক থেকে। সব মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে দেয় ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলা।

 

কলঙ্কময় ২১ আগস্ট : সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। সেদিন ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশের আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই মানুষের রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিণত হয় এক মৃত্যুপুরীতে। স্পিন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত নিথরদেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সামনের পিচঢালা পথ। নিহত-আহতদের জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকাধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভেসে আসে শত শত মানুষের গগন বিদারী আর্তচিৎকার। বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টারত মুমূর্ষুদের কাতর-আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক সেই দৃশ্য।

 

সেদিন রাজধানীর প্রতিটি হাসপাতালে আহতদের তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ভাগ্যগুণে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যানশেখ হাসিনা। ঘাতকদের প্রধান লক্ষ্য শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন দেখে তার গাড়ি লক্ষ করে ১২ রাউন্ড গুলি করা হয়। তবে টার্গেট করা গুলি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ি ভেদ করতে পারেনি। হামলার পরপরই শেখ হাসিনাকে কর্ডন করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তার তৎকালীন বাসভবন ধানমন্ডির সুধা সদনে। ২১ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। পরে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান ছাড়াও সেদিন নিহত হন ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, হাসিনা মমতাজ রিনা, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম। গ্রেনেডের স্পিøন্টারের সঙ্গে লড়াই করে ঢাকারমেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ আরো কয়েকজন পরাজিত হন।

 

হামলায় আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে স্পিøন্টার নিয়ে আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আহত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এখনো অনেক নেতাকর্মী সেদিনের সেই গ্রেনেডের স্পিøন্টারের মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অনেক নেতাকর্মীকে তাৎক্ষণিক দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করালেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। এদিকে গ্রেনেড হামলার পর ভয়, শঙ্কা ও ত্রাস গ্রাস করে ফেলে গোটা রাজধানীকে। এ গণহত্যার উত্তেজনা ও শোক আছড়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ঠিক তখনই পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলের ওপর বেধড়ক লাঠি-টিয়ার শেল চার্জ করে। একইসঙ্গে নষ্ট করা হয় সেই রোমহর্ষক ঘটনার সব আলামত। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রত্যক্ষ মদদে ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

 

ভোরের আকাশ/মি