logo
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৩৯
খামারের ১১ গরুর মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরো ৫
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

খামারের ১১ গরুর মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরো ৫

ক্যাপশন: আসাদ এগ্রো ফার্মে মৃত গরু

ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া কাজীপাড়া এলাকার আসাদ এগ্রো ফার্ম নামক একটি খামারে সকালে খাবার দেয়ার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ১১টি গরু মারা গেছে। আশঙ্কাজনক রয়েছে আরো ৫টি গরু। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আসাদ এগ্রো ফার্মে সকালে খাবার দেয়ার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে এক এক করে ১১টি গরু মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন খামারের মালিক আসাদ খান।

 

খামারের মালিক আসাদ খান বলেন, সকালে খাবার দেয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলির মৃত্যু হয়। আমরা গত দুই বছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমাণ মতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত দেখা গেছে। এ ব্যাপারে আইনি কোনো পদক্ষেপ নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই, আমি চাই না আমার প্রতিবেশীরা হয়রানির শিকার হোক। তবে কি কারণে গরুগুলি মারা গেল এ জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) পরীক্ষা করতে দেব। খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রতি দিনের ন্যায় সকাল ৭টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দেই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিল। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। ঘণ্টাখানেক পরে মামি আমাকে জানায় ‘গরুগুলি ঠাস ঠাস কইরা পইরা মারা যাইতেছে।’

 

এর ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম বলেন, আমি কেবলই জানতে পারলাম। আমি এবং ভেটেরেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কোঅর্ডিনেশন মিটিংয়ে আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপসহকারী যাচ্ছে, ওখানে কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে, বর্ষাকালীন সময়ে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এ কারণে একসঙ্গে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।