ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে শেরপুরের দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার বিকেলে নালিতাবাড়ি উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভয়েজ অব ঝিনাইগাতীর সভাপতি জাহিদুল হক মনির বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির ফলে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে কৃষকরা তাদের সবজি আবাদ নিয়ে চিন্তায় আছে। আমরা বেশ কিছু পরিবারকে সহযোগিতা করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভোগাই নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ৪৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল প্রবাহিত হওয়ায় পানি কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টি স্থায়ী না হলে দ্রুত তর সময়ের মধ্যে নদীর পানি কমবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুর সদরে ৪৫ মিলিমিটার, শ্রীবরদীতে ৪২ মিলিমিটার, ঝিনাইগাতীতে ৪০ মিলিমিটার, নালিতাবাড়ীতে ৫২ মিলিমিটার ও নকলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তারা আরো জানিয়েছে, জেলায় এক দিনে মোট বৃষ্টি হয়েছে ২৭৯ মিলিমিটার এবং গড়ে ৫৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে ভারী বর্ষণের ফলে অব্যাহত আছে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী দশআনীর ভাঙন। সমস্যা নিরসনে ইতোমধ্যে ২০০ মিটার তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক।
ভোরের আকাশ/নি