এম সাইফুল ইসলাম: এবার সরকারবিরোধী এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছে জামায়াত। দলটির ছাত্র সংগঠন শিবিবেরও একই নির্দেশনা রয়েছে। দলটির অন্যতম নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মারা যাওয়ার পর কর্মসূচি পালন করাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক গ্রেপ্তারের দলটির পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই জামায়াতের অনেকেই এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়া শক্তভাবে মাঠে নামতে জামায়াত নেতাকর্মীরা কৌশলে প্রস্তুতিও গ্রহণ করছেন।
দলটির নেতারা বলছেন, যেকোনো সময় সরকারবিরোধী বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হলে তাতে জামায়াত ‘বিশেষ ভূমিকা’ রাখবে এমন বার্তা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জামায়াত নেতাদের। গ্রেপ্তার করে শেষ পর্যন্ত সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে দলটির নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্য।
জানা গেছে, ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রায় দুই বছর ১/১১-এর পরিস্থিতি পার করে ফের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জোটগতভাবে ভোট করে বিএনপি-জামায়াত। ওই ভোটে আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যায় জোটটি। এরপর সরকার গঠনের করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু আওয়ামী লীগ। সেই বিচারে জামায়াতের জ্যেষ্ঠ ৯ নেতার বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়া ২০১৩ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করলে দলটি নিজস্ব প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ নিয়ে ভোট করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। নেতাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা ও কার্যকর করা এবং ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানো ইস্যুতে জ্বলাও-পোড়াও আন্দোলনের ঘটনায় অসংখ্য মামলার ঘানি টানতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর জামায়াত নিজেদের মাঠের রাজনীতিতে গুটিয়ে নিয়ে ‘দাওয়াতি’ ও সামাজিক কর্মকান্ডের ব্যস্ত থাকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দলটি বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ লোকবল সৃষ্টির মিশনে মাঠে নামে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোটও অকার্যকর হয়ে পড়ে। বিএনপিও অনেকটাই ‘একলা চলো’ নীতিতে এগোতে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৭ আগস্ট জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন।
২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের এক অনানুষ্ঠানিক সভায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট কার্যত ভেঙে দেয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর জনসভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এরপর গণতন্ত্র মঞ্চ, ১১ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ কয়েকটি দল নিজস্বভাবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
ওইদিন বিকেলেই জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন। দুদিন পর জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার হন। প্রথম দিকে বিএনপির যুগপৎ কর্মসূচিতে মাঠে ছিল জামায়াত। যুগপৎ কর্মসূচির প্রথমেই ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল পালনকালে রাজধানীর মৌচাকে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া বা খোঁজখবর না নেয়া ও কর্মসূচি গ্রহণে জামায়াতের পরামর্শ না নেয়ায় বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধ হন দলটির নেতারা। এরপর আর যুগপৎ কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে নিজদের মতো বেশিরভাগই ঘরোয়া কর্মসূচি নিয়ে চলতে থাকে দলটি। ফলে দীর্ঘদিন দলটির নেতাদের গ্রেপ্তারের খবর খুব এটা পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘ নীরবতা পালনের পর বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ভোটে বাধা প্রদানকারীদের বিষয়ে গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসে জামায়াত। দলটি ৫ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়। পরে এ সমাবেশের অনুমতির আবেদন নিয়ে ডিএমপি কার্যালয়ে যান দলটির কয়েকজন আইনজীবী। তাদের প্রথমে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
৫ জুন জামায়াতকে পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দিলে দলটি কর্মসূচি পালন থেকে সরে এসে আবারো ১০ জুন কর্মসূচি পালনে অনুমতি চেয়ে আবেদন দেয়। পরে জামায়াতকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশনে সমাবেশের অনুমতি দেয়। সমাবেশের আগের দিন রাতে অনুমতি দিলেও দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেয়।
২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মতিঝিলে পুলিশের অনুমতি নিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপর প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি করার সুযোগ না পেয়ে মাঝেমধ্যেই ঝটিকা মিছিল আর ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াত।
১০ জুনের ওই সমাবেশের পর নতুন করে আলোচনায় আসে জামায়াত। পর দলটিকে ভিসানীতির প্রভাবে পুলিশ সমাবেশ করতে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে আলোচনা শুরু হয়। আবার আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো আপস কিনা, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। অবশ্য পরবর্তী দলটি সিলেট ও চট্টগ্রাম এবং ফের ঢাকায় সমাবেশ করতে চেয়ে অনুমতি না পাওয়ায় জামায়াতকে নিয়ে সন্দেহ বা অবিশ্বাস আর হালে পানি পায়নি।
এছাড়া গত ১৪ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ঢাকায় তার নামাজে জানাজা করতে চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। ঢাকায় এ জানাজা পালনকে কেন্দ্র করে ওইদিন ভোররাতে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শাহবাগে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
দলটির নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় এ নেতা মারা যাওয়ার পর সারা দেশে গায়েবানা জানাজা আদায় ও ঢাকায় জানাজা করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এ কর্মসূচি পালনকালেও ব্যাপকসংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হন। জামায়াতের পাশাপাশি দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও গ্রেপ্তার হন।
জামায়াতের গত কিছুদিনের কর্মতৎপরতায় দেখা গেছে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের জন্য সক্রিয় হচ্ছে দলটি। কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে যে ‘দায়িত্বশীল বৈঠক’ বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছেন সেখানে প্রধান্য পেয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু।
কারণ জনরায়ে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত যে বিপর্যয়ের মধ্যে থাকবে, সেটি দলটির নেতাদের কাছে স্পষ্ট। তারা মনে করছেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসতে পারলে আগামীতে জামায়াতের অস্তিত্ব আরো সংকটে ফেলতে সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া কেন্দ্রের পাশাপশি তৃণমূলের নেতাদের নামে থাকা সব রাজনৈতিক মামলায় বিচারকাজ শেষ করবে সরকার।
দলটির পর্ববেক্ষণ, পশ্চিমা দেশগুলো ছাড়া বিশে^র গণতন্ত্রকামী বেশিরভাগ দেশ এখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে কথা বলছে। একটি অবাধ নির্বাচনের সরকারের ওপরে নিকট অতীতে এভাবে চাপও সৃষ্টি হয়নি। তাই এ ইস্যুতে আন্দোলনের মোক্ষম সময় বলেও মনে করছে জামায়াত। বিএনপিসহ যেসব দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ‘এক দফা’ আন্দোলনে আছে, সেখানে জামায়াতেরও সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে থাকা জরুরি বলেও দলটির উপলব্ধি।
সেজন্য আন্দোলনের মাঠ গোছাতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে প্রতিদিন কোনো না কোনো জেলায় কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিএনপির আন্দোলন টিকে থাকার মতো বা সরকারকে চ্যালেঞ্জের মতো পর্যায়ে গেলে সেই আন্দোলনে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামতে চায় জামায়াতে।
দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে বিএনপির হাইকমান্ড কাজ করছে বলে জানা গেছে। দুই দলের শীর্ষ পর্যায়ে নেতাদের সম্প্রতি বৈঠকের খবরও প্রকাশিত হয়েছে। একপর্যায়ে গিয়ে এককাতারে এসে নাকি যুগপৎভাবে আন্দোলন চলবে তা নিয়েও কথাবার্তা চলছে দল দুটির নেতাদের মধ্যে। এছাড়া নানা মান-অভিমান থাকার পরও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতিক্রিয়ায় বেশ সন্তুষ্ট দলটির নেতাকর্মীরা। যার ‘ইতিবাচক’ প্রভাব পড়তে পারে মাঠের আন্দোলনে।
জামায়াত যে আগামীতে মাঠে থেকে সর্বোচ্চভাবে আন্দোলন করতে চায় এ তথ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে রয়েছে। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন করে জুলাইয়ের শেষভাগ থেকে নতুন করে গ্রেপ্তার জামায়াত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করা হয়।
তবে সাঈদীর মারা যাওয়ার পর গ্রেপ্তার আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন জামালপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকের নামে মামলা না থাকলেও থানায় নিয়ে তাদের পুরোনো মামলায় চালান দেয়া হচ্ছে।
জামায়াত নেতারা বলছেন, গত ৩০ জুলাই রাত ১২টায় জামালপুর শহরের শেখের ভিটা এলাকার বাসায় ঢুকে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরাসরি দলটির কোনো পদ পদবি না থাকলেও রাতে ১২টায় গ্রেপ্তার করে ভোর ৬টায় সংঘটিত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিকেলে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপার্দ করা হয়।
এছাড়া রোববার রাত ১টায় জামালপুর শহরের সর্দার পাড়া ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেনের বাসায় গিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। একজন জামায়াত নেতা ভাড়া থাকেন এমন অভিযোগ এনে সারা রাত পুলিশ ওই বাসায় কলিং বেল বাজানোসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বাসায় শিশু ও অসুস্থ রোগী আছে বলা হলেও পুলিশ তাতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
যশোরের শার্শার উলশীসহ কয়েকটি গ্রামে শনি ও রোববার পুলিশ জামায়াত নেতাদের বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা আশাশুনির উপজেলার বুধহাটায় রোববার রাতভর জামায়াত নেতাদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সারা দেশের এ পরিস্থিতিতে ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’র আগে কেন্দ্র থেকে জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে দলটির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর রমনা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি আতিকুর রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মাঠে রয়েছেন তারা। তাদের মাঠ থেকে সরাতে পুলিশ নতুন করে গ্রেপ্তার শুরু করেছে।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে জামায়াত সমসময় অগ্রসর ছিল। কারণ সবকিছুর মূলে হচ্ছে গণতন্ত্র। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ না থাকলে সেখানে গণতন্ত্র থাকে না। তাই জামায়াত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে জানতে পেরে পুলিশ নতুন করে গ্রেপ্তার শুরু করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা আন্দোলনে আছি। এ ইস্যুতে কোনো আপস করা বা ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। তাই জামায়াতকে আন্দোলন থেকে সরাতে এখন গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পেশাজীবীদেরও এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোনো কারণ ছাড়াই। দেয়া হচ্ছে গায়েবি মামলা। এভাবে মামলা দিয়ে আর গ্রেপ্তার করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে না।
ভোরের আকাশ/নি