নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তাদের মতাদর্শ থেকে টলাতে পারেন নাই, মিথ্যা প্রভাকান্ড ছড়িয়ে ভোটারদেরকে টলাতে পারে নাই। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত। তাই জনগনের রায়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে তিনবার ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেনমানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা সব বুজতে পারে।
আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তাই আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। সেখানে আমাদের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের একটা দেশে সেটা সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনাদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীদিনে আবারো নৌকার জন্য যুদ্ধ করতে চাই। আপনারাও আমাকে ভালো বাসেন।ইতিমধ্যে আক্তার মিয়ার হাট সড়কে বেহাল অবস্থা দেখে ইট ফেলে রিপেয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করছি এবং আগামী এক মাসের মধ্যে রাস্তাটি টেন্ডার হবে। ৬ কি.মি রাস্তা মেইনটেনিসের কাজ হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবন মানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পিছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি অবস্থা ছিল এ অঞ্চলের।
রাস্তা-ঘাটের কি অবস্থা ছিল? শিক্ষার সুযোগ কি ছিল? চিকিৎসার ব্যবস্থা কি ছিল? সামাজিক নিরাপত্তার অবস্থা কি ছিল? আমরা ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাটের যে উন্নয়ন করেছি।
আগামী ১শ বছর আর কোন সরকার এ উন্নয়ন করতে পারবেনা। জনগনের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত করেছি। আমি এমপি হবার পর বিএনপির কোন নেতাকর্মী আমার কর্মীদের কতৃক কোন সহিংসতার স্বীকার হয়নি। আমরা প্রতিহিংসার নয় উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
সোমবার বিকালে নোয়াখালী সূবর্ণচর উপজেলার আক্তার মিয়াহাট বাজারে গণসংযোগ কালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা করার সময় তিনি এসব বলেন।
নেতাকর্মী ও জনসাধারনের উদ্যেশে একরাম বলেন, আপনারা ২০০১ সালে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি কথা দিয়েছি উন্নয়ন করেছি। আপনাদের দীর্ঘনাভিশ্বাস এ এলাকাকে বনদস্যু বাহিনীমুক্ত করেছি। যেখানে আপনাদের বউ-জ্বিরা রাতে ঘুমাতে পারতো না। আজ তারা নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে। আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, আবার যদি আমাকে নির্বাচিত করতে পারেন। মোহাম্মদপুর আর মোহাম্মদপুর থাকবে না।
এ এলাকার বাসিন্দারা উন্নয়নের সুফল পাবে ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ সরকার স্পেশাল ইকোনমি জোনের জন্য জায়গা নিয়েছে। আমাদের সুবর্ণচরে তিন হাজার একর এবং কোম্পানীগঞ্জ থেকে সাড়ে চার হাজার একর সরকার অলরেডি রিজম করেছে। আগমীতে আপনার যদি আমাকে পাশে চান, উন্নয়ন চান, তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
এসময় এমপি একরাম অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নগদ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। তিনি বলেন,এই টাকার বাহিরেও দোকানদের দোকান করতে যদি আরও টাকা লাগলে আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের এমপি আপনাদের পাশে থাকবো। পরে তিনি, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মাইজদী যাওয়ার সময় সড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা শেষে চরক্লাক জনতাবাজারে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেন।
জনসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, সূবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম আহবায়ক ও চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু,চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মন্নান ভূইয়া, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সূবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল হাসানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ভোরের আকাশ/নি