logo
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ১৪:৪৯
ছয় বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৩০২০ মামলা, আসামি ৬৮৩৭
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

ছয় বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৩০২০ মামলা, আসামি ৬৮৩৭

কক্সবাজারে উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩০২০টি মামলায় ৬৮৩৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আসামি করা হয়েছে।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়েরকৃত ২০৫৭টি মামলায় ২৯৭৯ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। অস্ত্র আইনে ২৩৮টি দায়েরকৃত মামলায় ৫৫২ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। ১৮৬ টি হত্যা মামলায় ১০৯১ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে।

 

তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯৪টি ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ১১৪ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। ৬২টি ডাকাতি ও ডাকাতি প্রচেষ্টা মামলায় ৫৩৫ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত ৬৫টি মামলায় ১৩৩ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। ৪৪টি অপহরণ মামলায় ২২২ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে।

 

৭টি মানবপাচার মামলায় ১৮৯ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টে দায়েরকৃত ৪২টি মামলায় ১০৪ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত ২৪৩টি মামলায় ৯৪১ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়েছে।

 

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু গত ৬ মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে ২৩ জন মাঝিকে খুন করা হয়েছে। সূত্র মতে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত পরিসংখ্যানে কক্সবাজার জেলা ও নোয়াখালীর ভাসানচরে মোট ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৪৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।

 

তার মধ্যে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯ লাখ ৬১ হাজার ৭২৯ জন। এর আগে আসা পুরাতন রোহিঙ্গা রয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮২ জন। ভাসানচরে রয়েছে ৩২ হাজার ৮৩২ জন রোহিঙ্গা।

 

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক বলেন, তিন ব্যাটালিয়ন এপিবিএন পুলিশ, কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দশম পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

রোহিঙ্গারা পেশাদার অপরাধী। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই বলে জানান কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।

 

ভোরের আকাশ/নি