logo
আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:০৮
জীবিকার তাগিদে ইজিবাইক চালাচ্ছেন রুনা
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

জীবিকার তাগিদে ইজিবাইক চালাচ্ছেন রুনা

মানিকগঞ্জে জীবিকার তাগিদে ইজিবাইক চালাচ্ছে রুনা আক্তার

যে বয়সে পড়ালেখা কিংবা স্বামীর সংসার করার কথা সেই সময় জীবন-জীবিকার তাগিদে রুনা হাতে তুলে নিয়েছেন লোহার হ্যান্ডেল। ইজিবাইক চালিয়ে অসুস্থ বাবা-মা এবং ছোট ভাইয়ের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন রুনা আক্তার (২২) নামের এক তরুণী।

 

জানা যায়, মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৌলি এলাকার আলতাফ জহুরা দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ রুনা। আর্থিক টানাপড়েনে পড়ালেখা না করায় ছোটবেলা থেকেই জীবন সংগ্রামে নামেন রুনা। দিনমজুর বাবা ২০১৬ সালে পরিবারের সচ্ছলতা আনতে জমি বিক্রি করে, সৌদি আরবে পাঠায় রুনাকে কিন্তু পা ভেঙে যাওয়ায় ফিরে আসতে হয় তাকে।

 

বাধ্য হয়েই জীবন সংগ্রামের হাতিয়ার তুলে নেন তরুণী রুনা আক্তার, প্রথম দিকে সমাজের মানুষের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে তাকে। সব বাধাকে পেছনে ফেলে প্রতিদিন ভোরবেলায় ভাড়ায়চালিত ইজিবাইক নিয়ে বের হন তিনি। সারাদিন যে আয় হয় তার বড় একটি অংশ দিতে হয় ইজিবাইকের মালিককে। বাকি টাকা দিয়ে অসুস্থ বাবা-মা’র ওষুধ এবং সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করেন তিনি।

 

রুনা আক্তার বলেন, আমি মেয়ে মানুষ হলেও তাদের সব ভরন-পোষণ করাটা আমার একান্ত দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাবা-মা সারাটা জীবন আমাদের পাঁচ ভাইবোনদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, এখন আমাদের পালা। বড় ভাই অনেক বছর আগেই বিয়ে করে আলাদা থাকেন, দুই বোনের বিয়ে বাবা দিয়েছেন, এখন বাবা অসুস্থ, কোনো কাজ করতে পারেন না।

 

সেজন্য আমি কোনো উপায় না পেয়ে ইজিবাইক চালাচ্ছি। প্রতিদিন যে টাকা আয় করি মালিককে দিয়ে যা থাকে তা দিয়েই কোনোমতে চলে যাচ্ছে আমাদের ৪ জনের সংসার।

 

মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. কবির হোসেন বলেন, রুনা আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তাকে এর আগে একটি ইজিবাইকের প্লেট দিয়েছিলাম। পৌরসভার মেয়র রুনার জন্য স্থায়ী কিছু করা যায় কিনা বলেও জানান তিনি।

 

ভোরের আকাশ/নি