দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন পাঁচঘরিয়া ও পাতিপাড়া এ দুই গ্রামের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায়ের সংগঠন ‘ভূমি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পাতিপাড়া গ্রাম সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি পাঁচঘরিয়া ও পাতিপাড়া প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন কমিটির সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী, ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাদের ও মেহেদুল ইসলামসহ অনেকে। এ সময় বক্তারা বলেন, গভীর রাতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মাইন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও ভূ-কম্পনে প্রতিনিয়তই ফেটে যাচ্ছে পাঁচঘরিয়া ও পাতিপাড়া এ দুই গ্রামের বাড়িঘর। এতে রাতবিরাতে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন তারা। সেই সাথে তলিয়ে যাচ্ছে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। টিউবওয়েলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় চরম পানি সংকটে পড়েছেন এলাকার প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর জমি অধিগ্রহণ ও বাড়িঘর ফাটলের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার থেকে খনিতে চাকরির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ, আন্দোলন করলে খনি কর্তৃপক্ষ লোক দেখানোভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আজও কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। দ্রুত দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নারী-পুরুষ ছাড়াও প্রায় সহস্রাধিক এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাটির নিচ থেকে কয়লা উত্তোলন করলে কিছুটা ভূকম্পন হয়। তবে জনসাধারণকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমাদের প্রয়োজনীয় এলাকা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে, নতুন করে বাড়িঘরে ফেটে যাওয়া এলাকা পূর্বে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল কিনা তা দেখার জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/মি