নিখিল মানখিন: বাংলাদেশ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এ বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ভারতের নিরাপত্তার জন্য বারবার বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদীদের প্রশয় না দেয়ার বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখিয়ে আসছে বর্তমান সরকার। এর বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদীদের প্রশয় দিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের। বাংলাদেশ ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও এ দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে পাকিস্তান প্রজাতন্ত্রের অংশ ছিল।
পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শাসনের নিষ্পেষণে পূর্ব বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তখন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকার যে সহায়তা করেছিল তা বাংলার মানুষ কখনো ভুলবে না। বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক পরম্পরা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ প্রতি ভারত বহু বছর ধরে যে জোরালো সমর্থন দিয়ে আসছে তা আগামী দিনেও পুরোপুরি অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারত সফর করে এলেন। তিন দিনের এ ভারত সফরে তারা ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিজেপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সভাপতি এবং নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চান তারা। আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আবার আসতে পারে, এ বার্তাটি কোনো রাখঢাক ছাড়াই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন। ফলে আগামী নির্বাচনেও যে ভারত-বাংলাদেশে অসম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে ক্ষমতায় চায় এটি সুস্পষ্ট করল। এ নিয়ে ভারত এখন আর কোনো লুকোচুরি করেনি।
আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতার সফর ভারতে ছিল এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে। যে সময়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো মিলে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। যখন ড. রাজ্জাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে ছিলেন, সেই সময়ে ভারতের পার্লামেন্টে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।
এরকম একটি উত্তেজনাময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও বিজেপি সভাপতি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এটি বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের আগ্রহের বার্তা দেয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যে কোনো বিকল্প এখন ভারতের কাছে এখন নেই, সেই মনোভাবটি সুস্পষ্ট করে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেশ কিছু কারণে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে ভারত সরকার। শুধু বিজেপি নয়, এমনকি ভারতে যদি ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়, যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় চাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বা নেতা নন, তিনি এখন একজন বিশ্বনেতা এবং উপমহাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার নেতৃত্বেই বিশ্বে মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজনীতির একটি আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে। এ কারণেই ভারত মনে করে, শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেতৃত্ব এখন বাংলাদেশে নেই।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুলভোটে বিজয়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে, তারা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। বাংলাদেশের মাটি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার সেই কথা রেখেছে। এটি ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির কারণ। এর ফলে ভারত একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদের তান্ডব থেকে রক্ষা পেয়েছে। আর একারণেই ভারত সব সময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। ভারত এখনো মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতায় না থাকে, তাহলে যারা ক্ষমতায় আসবে- তারা এ ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে লালন-পালন এবং প্রশ্রয় দিতে পারে। ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলেন, ভারত মনে করে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিদের বিস্তার ঘটবে। তারা বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিয়ে যাবে। এ বাস্তবতাতেই তারা আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প ভাবতে পারছে না।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এবং সেই সময়ে বিএনপি ভারতের সঙ্গে যা করেছে, সেটি ভারতের নেতারা ভুলতে পারেন নাই। ভারতের অধিকাংশ থিঙ্কট্যাঙ্ক মনে করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে, আবার এ অঞ্চলে পাকিস্তান নানা রকম কর্মকান্ড শুরু করবে, যেটি হবে ভারতের স্বার্থবিরোধী। এ কারণেই তারা আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প ভাবতে পারেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরো জানান, বিজেপি এবং ভারত মনে করে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের এখনো অনেক অধিকার বাকি আছে। এখনো সংখ্যালঘুরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারই সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় সবচেয়ে ভালো পছন্দ এবং তাদের কোনো বিকল্প নেই। অন্যরা এলে সংখ্যালঘু নিধন এবং সংখ্যালঘুদের মৌলিক মানবাধিকার হরণ প্রক্রিয়া আরো বাড়বে। এ কারণেই ভারত মনে করে, আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প এ মুহূর্তে নাই এবং আগামী নির্বাচনে তারা ক্ষমতার ধারাবাহিকতা দেখতে চায়।
এদিকে নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস পূর্বে ভারতে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে সুউচ্চ মর্যাদা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাতে বুঝা গিয়েছে শুধু ভারতই যে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেটি নয়, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তথা বিশ্ব ব্যবস্থায় শেখ হাসিনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সরকার প্রধান যিনি এই জি-২০ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল সম্মান।
শুধু তাই নয়, জি-২০ সম্মেলনের ঠিক আগের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনজন রাষ্ট্রনায়কের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তারা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জগন্নাথ। এতে বুঝা যায়, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার গুরুত্ব ও সম্মান কতটুকু। বাইডেনের সাথে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের আগে শেখ হাসিনার সাথে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গভীরতা ও গাঢ়তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ক‚টনৈতিক পর্যায় থেকে জানা যায়, ভারত বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে। গোটা পৃথিবী যেভাবেই দেখুক না কেন, ভারত বাংলাদেশকে দেখে তার মতোই ভাবে, কারণ বাংলাদেশের সাথে ভারতের রয়েছে নিবিড় এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব।
বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় স্বার্থ একই সূত্রে গাথা। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনাই যে একমাত্র প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতা যিনি বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ সমানভাবে রক্ষা করতে পারেন, সেটি ভারত মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। আর আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি যে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিতে পারে সেটি সকলেরই জানা।
বাংলাদেশের তিনদিকে ভারতের অবস্থান থাকায় বাংলাদেশের স্বার্থ বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দেওয়া এই বাংলাদেশি রাজনৈতিক শক্তি ভারতের জন্যও ক্ষতিকর। এটি ভারত ভালোভাবেই জানে।ভারতে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। সেই বৈঠকের মধ্যেই প্রায় ১৫/২০ মিনিট নিজেদের মধ্যে একান্তে কথাবার্তা বলেছেন দুই নেতা- যেখানে তারা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করতে পেরেছেন।
বৈঠকের পরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টিকেই তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং ভারতও এই বিষয়টিতে একমত হয়েছে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ‘বিটুইন দ্য লাইন’ ভেদ করলে এটাই দাঁড়ায় যে, বিগত দেড় দশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশে যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছেন, তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে অপসারণের চেষ্টা করা হলে সেটা শুধু বাংলাদেশেই নয়,সমগ্র অঞ্চলে অস্থিরতা ডেকে আনবে।
অতীতের অভিজ্ঞতা বলে সে ক্ষেত্রে ধর্মীয় মৌলবাদের প্রসার ঘটবে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এই মূল্যায়নের সঙ্গে ভারতের একমত না হওয়ার কোনও কারণই নেই– আর তারা সেটা বাংলাদেশকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েও দিয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ কী বার্তা পেল- জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সামিটের সফলতা হলো বিভিন্ন দেশের নেতা বা প্রতিনিধিরা এক পৃথিবী এবং এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ এই স্লোগানটি করেছে জি টুয়েন্টি। এটা মুখে বলা নয় বাস্তবায়ন করার জন্য আলোচনা জরুরি। এখানে সে বাস্তবতা উঠে এসেছে।
এছাড়া স্বল্প সময়ের এই দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। দিল্লি যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সব মিলে আমার কাছে মনে হয়েছে, শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বনেতাদের যে অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, এতে তারই প্রতিফলন হয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জন বা সফলতা কী এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ যে দেশ হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদানের মাধ্যমে এ বার্তাই উঠে এসেছে ও স্বীকৃত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষভাবে আমি যদি বলি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সেলফি তোলাও তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কন্যার সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। আর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, এটা সারাবিশ্বের জন্য একটা শুভ বার্তা।
ওয়াশিংটনকে দিল্লির বার্তা: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত ও আমেরিকা কারো পক্ষেই সুখকর হবে না বলে মনে করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত যে খুশি নয়, ওয়াশিংটনকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে সেই বার্তাও। একাধিক স্তরের বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনকে এ কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভারতীয় ম্যাগাজিন ফ্রন্টলাইনের প্রতিবেদন: আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ হেরে গেলে বাংলাদেশ দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ভারতীয় ম্যাগাজিন ফ্রন্টলাইন। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু পরিচালিত ইংরেজি ম্যাগাজিনটির অনলাইন সংস্করণে গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ এশিয়ার স্বার্থ সম্পর্কিত নানা বিষয় উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সম্ভবত একমাত্র নির্ভরযোগ্য অংশীদার হলো শেখ হাসিনার সরকার।
ভোরের আকাশ/নি