টাঙ্গাইল জেলা সদর কান্দাপাড়া পতিতাপল্লী সংলগ্ন মুচিপট্টিতে সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস পৌর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয় গেইটের ৩-৪ মিটার দূরেই বাবলুর বাড়ি নামে খ্যাত জায়গাসহ এখানে কয়েক স্থানে প্রকাশ্যেই চলে কোটি টাকার মাদকের ক্রয়-বিক্রয়। যার ফলে, বিদ্যালয়টির সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়াও পতিতাপল্লী এলাকায় একাধিক স্থানে চলে মাদক ক্রয়-বিক্রয়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এসব মাদক কারবারির সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার না করে, উল্টো এলাকার সাধারণ জনগণকে অসাধু কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমেই হয়রানির স্বীকার হতে হয়। পুলিশ গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে থাকে ও অনেক সময় মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নিরীহ সাধারণ জনগণ ও পথচারীদেরকে।
সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস পৌর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম খান বলেন, মাদকের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। এর আগে বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রশাসনে বেশ কয়েকটি আলোচনা হয়েছে। ফলস্বরূপ কিছু হয়নি। গেইটের সামনে মাদক ক্রয়-বিক্রয় হওয়ার বিষয়টি এস এস এস বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানেন, ঊর্ধ্বতনদের যা করতে বলবেন তিনি সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, মাঝে মধ্যেই অপারেশন চালান তারা, সম্প্রতি সময়ে বাবলুর বাড়ি থেকে ৩ মহিলাসহ মাদক কারবারিরদের গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের ব্যবহারকৃত তৈজসপত্রগুলো এখনো আটক রয়েছে। তবে মাদক কারবারিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালত এর সূত্রে জানা যায়, অসাধু কিছু আইন ব্যবহারকারী ও প্রয়োগকারীদের, আইনের অপপ্রয়োগের কারণে অপরাধীরা যথাযথ শাস্তি পাচ্ছেন। আর নিরপরাধীরা সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে বিচার বিভাগ ইচ্ছে করলেই আইনের অপব্যবহার রোধসহ সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে পারেন।
ভোরের আকাশ/নি