logo
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:১২
নৈর্সগিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত
অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)

নৈর্সগিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। এটি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত। সৈকতটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মাধুর্য প্রতিনিয়ত সাড়া ফেলছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। সরকারি স্বীকৃতি লাভের পর নতুন নক্সায় সৈকতটি আরো আকষর্ণীয় হয়ে উঠছে। লোনা-বালির বাতাসে শরীর ও মনের শিহরণ জাগিয়ে সৈকতটি পর্যটকদের আলিঙ্গনে কাছে টানছে প্রতিনিয়ত।

 

পৌরসদর থেকে ৩ কিলোমিটার পথ ধরে নামার বাজার রোড দিয়ে পশ্চিমে সমুদ্র তীরে বেঁড়িবাঁধ সংলগ্ন কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁষে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতটির অবস্থান। কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁষে ১ কিলোমিটার পথে পায়ের ছোঁয়ায় মোড়ানো মাটির চেয়ার আর মাটি ও ঘাসবেষ্টিত চেয়ারগুলোতে বসলে মনে হয় যেন ফোমে জড়ানো ঘরে সাজানো প্রাকৃতিক সোফা। আবার ঘাসবেষ্টিত মাটিগুলো দূরদৃষ্টিতে তাকালে চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড়ের ছোট ছোট টিলার মতো মনোরম দৃশ্য।

 

সৌন্দর্যে আর মাধুর্যে সাজানো মনোমুগ্ধকর গুলিয়াখালী সি-বিচ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মায়ার জালে কাছে টানছে। সৈকতে পর্যটকের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হোটেল রেস্তোরাঁর সংখ্যা, সৈকতমুখী সড়কগুলোতে বাড়ছে যাত্রীবাহী গাড়ি। সম্প্রতি সৈকতটি পরিদর্শনে আসেন অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া ও উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নস্থ ফরাদপুরের বাসিন্দা বড় দারোগার হাটের ব্যবসায়ি নিমাই চন্দ্র দে।

 

ভ্রমণপ্রেমীরা জানান, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত পরিবেশবান্ধব একটি চমৎকার পিকনিক স্পট। উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রতন মিত্র বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গণমাধ্যমের প্রচারণায় গুলিয়াখালী সি-বিচে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪নং মুরাদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোপ্তাখালীর বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম বলেন, সীতাকুন্ডকে দেশ-বিদেশে মর্যাদার আসনে অলঙ্কিত করেছে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। মনোমুগ্ধকর সৈকতটির সম্ভাবনার সাথে রয়েছে সমস্যাও। এক্ষেত্রে সীতাকুন্ডে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের লিখনীর মাধ্যমে সি-বিচের উন্নয়ন ও সমস্যাবলী প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নজরে আনতে হবে।

 

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-বাকের ভূইয়া বলেন, সীতাকুন্ডে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভ্রমণপ্রেমীদের আগমন। পর্যটন স্পটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত সেনিটেশন ব্যবস্থা কিংবা আবাসিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন অপরিহার্য।

 

তিনি আরো বলেন, সীতাকুন্ডে পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণপ্রেমীদের আগমণ যেমন বাড়ছে, তেমনি ঘটছে দুর্ঘটনাও। পর্যটকরা আমাদের অতিথি। ভ্রমণে এসে পর্যটকদের মৃত্যুহানী কারো কাম্য নয়। সম্প্রতি গুলিয়াখালী ও বাঁশবাড়ীয়া সৈকত, সহস্র ধারা লেক এবং বাঁশবাড়ীয়ার পাহাড়ি ঝর্ণাতে পর্যটকদের মৃত্যুহানির ঘটনা ঘটেছে। সমুদ্রসৈকত কিংবা লেকের পানিতে তলিয়ে পর্যটকদের মৃত্যুহানির ঘটনা ঘটলেও সীতাকুন্ডে তাদের উদ্ধারে কোন ডুবুরি টিম নেই। সীতাকুন্ডে একটি ডুবুরি টিমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/নি