পটুয়াখালীর দশমিনায় দীর্ঘদিন খড়ার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ধানের ক্ষেতগুলো সতেজ হয়েছে। এতে স্বস্তি দেখা দিয়েছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে। দীর্ঘদিন খড়ার কবলে পড়ে আমন ধানের ক্ষেতগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল। অনেক ধান গাছ লালচে আকার ধারণ করেছিল। গত কয়েক দিন যাবৎ স্বস্তির বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার বেশিভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। চলতি মৌসুমে আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৮ হাজার হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর। আমন ধানের ক্ষেতগুলোতে এ মুহূর্তে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন ছিল। গত কয়েক দিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে আমন ধানের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া এলাকার আমন চাষি মজিদ হাওলাদার, শংকর চন্দ্র শীল, জামাল হাওলাদার, মজিবুর রহমান ও আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, এ বৃষ্টি আমাদের কাছে ঈদের খুশির মতো। তবে এ বৃষ্টি যদি মাসখানেক আগে হতো তাহলে আমাদের আমন ক্ষেতে রোগের দেখা মিলত না। এখন ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। আমন ধানের গাছ হতে অতি দ্রুত ধানের শীষ বের হবে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের অন্য আরেক চাষি ইউনুছ তালুকদার বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ধানের ক্ষেতগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল। গাছের বৃদ্ধি কমে গিয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জাফর আহম্মেদ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম বেশি বৃষ্টি হলেও মাঝ পথে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। এই বৃষ্টির ফলে আমন ধানের ক্ষেতগুলোর অবস্থার পরিবর্তন হবে। আশা করা যায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে।
ভোরের আকাশ/নি