জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ডিন অফিসের সামনে ভাঙা চেয়ার টেবিলের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দিনের পর দিন ফেলে রাখলেও তা পরিষ্কার কিংবা স্থায়ী কোন সমাধানে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
মঙ্গবার সরেজমিনে দেখা যায়, ডিন অফিসের সামনে পিছনে ভাঙ্গা চেয়ার-টেবিলের স্তূপ জমে আছে। ভিতরের কক্ষে ভাঙ্গা চেয়ার-টেবিল দিয়ে ভর্তি হয়ে আছে। পরিণত হয়েছে চেয়ার-টেবিলের হাট বাজারে। এছাড়া ডিন অফিসের সিড়িতে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুুপ।
ডিন অফিসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। ভাঙ্গা চেয়ার-টেবিলের জন্য ওই ভবনে শিক্ষার্থীদের বসার মত কোন জায়গা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে সকল কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাঝে মাঝে বসার কোন জায়গা পাওয়া যায় না। অথচ ভবনটি চেয়ার-টেবিলের গুদাম বানিয়ে রাখা হয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ডিন অফিস হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জায়গা। এখানে এসে মাঝে মাঝে বসার জায়গাও মেলে না। কর্তৃপক্ষ ডিন অফিসকে গোডাউন ঘরে পরিণত করছে যা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। গোডাউন ঘর পরিষ্কার করে শীঘ্রই ডিন অফিসে বসার স্থান করে দিবে বলে অনুরোধ করছি।
ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্নতা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে আমি বহুবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছি, এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য আউট সোর্সসিং লোক লাগবে কিন্তু অর্থ হিসাব দপ্তর বাজেট স্বল্পতার কারণে এই ফাইল অনুমোদন দেয় নাই এবং কোন আপডেট ও আমাকে জানানো হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, এখন নতুন যে পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি হবে তারা কিভাবে ফাংশনাল হবে এ সংক্রান্ত চিঠি আমি দিয়েছি, যে তাদের যদি বাজেট দেয় তাহলে আউট সোর্সসিং লোক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, এগুলো পরিষ্কার করা আমার বিভাগের আওতার কাজ নয়, আমরা ভাঙ্গা চেয়ার টেবিল মেরামত করে থাকি, কিন্তু এখানে কারা এই চেয়ার টেবিল রাখলেন সে বিষয়ে আমি অবগত নয়, তবু আমি সুপারভাইজারকে বলবো যেন তারা বিষয়টি তদারকি করেন। এখানে এভাবে ভাঙ্গা জিনিসপত্র রাখা কখনোই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, ডিন অফিসের সামনে কিছু চেয়ার টেবিল আমাদের রয়েছে। তবে সবগুলো আমাদের নয়। কিছু অন্য ডিপার্টমেন্টরও রয়েছে। আমি একটু অসুস্থ তো আসতে পারছি না। আমি এসে এগুলো সরানোর ব্যবস্থা নিব। সামনের সপ্তাহে এগুলো সরিয়ে ফেলবো।
ভোরের আকাশ/নি