ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৯তম উপাচার্য। তাকে এ পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. মাহমুদুল আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩’-এর আর্টিকল ১১ (২) অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে উপাচার্য সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় তার এ নিয়োগ বাতিল করতে পারেন।
২০২০ সালের জুন থেকে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আগামী ৪ নভেম্বর বর্তমান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মাকসুদ কামাল ২০০০ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০১০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানে (স্পারসো) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদে প্রায় ছয় বছর কাজ করেন। মাকসুদ কামাল ভূমিকম্প ও সুনামি এবং নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ।
তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ থেকে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালে তিনি জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (টিটিটি) থেকে ভূমিকম্পবিষয়ক প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশি-বিদেশি জার্নালে তার ৬৫টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চার মেয়াদে সভাপতি ও তিন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিন মেয়াদে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং মহাসচিব হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/নি