logo
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:৩৬
বিশ্বকাপে খেলার কথা কখনোই ভাবিনি: সিরাজ
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বকাপে খেলার কথা কখনোই ভাবিনি: সিরাজ

অটো রিক্সা চালকের ছেলে হয়ে বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে খেলার স্বপ্ন কখনোই দেখেননি ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। কিন্তু এখন সেটা বাস্তব, দলের হয়ে পেস আক্রমনের অন্যতম কান্ডারি হিসেবে সিরাজ ভারতকে অল্প সময়ে অনেক কিছুই দিয়েছেন।

 

২৯ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলারের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট শিকারে চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ম্যাচটিকে একপেশে বানিয়ে ভারত ৭ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়। বিশ্বের সর্ববৃহত ক্রিকেট এরেনা আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের বিশাল মঞ্চে সিরাজ নিজেকে মোটেই ছোট করেনি। ২০ রানে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পাকিস্তানী ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলার পর বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে ফিরিয়েছেন ৫০ রানে। ২ উইকেটে ১৫৫ রানের থেকে হঠাৎ করেই ৪২.৫ ওভারে পাকিস্তান ১৯১ রানে অল আউট হয়ে যায়।

 

সিরাজের বাবা মোহাম্মদ গাউস ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৯ সালে ওয়ানডেতে ও পরের বছর টেস্টে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় সিরাজের। মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার মাধ্যমে নিজেকে লাইমলাইটে আনেন সিরাজ।

 

হায়দ্রাবাদের ছেলে সিরাজ বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি কখনোই বিশ্বকাপে খেলার কথা চিন্তা করিনি। কারন আমি খুবই নি¤œবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। যে কারনে এত বড় স্বপ্ন দেখার কোন অবকাশ ছিলনা। এখন আমি বিশ্বকাপে খেলছি। আমি মনে করি আমার জীবনে এর থেকে বড় অর্জন আর কিছু হতে পারেনা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে সবসময়ই আলাদা একটি আবহ তৈরী হয়। আজ আমিও সেটা অনুভব করতে পেরেছি।’

 

এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৭৬ রান খরচেও সিরাজ কোন উইকেট দখল করতে পারেননি। কিন্তু শনিবার ঠিকই পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছেন। বিশ্বকাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে আগের ম্যাচের পারফরমেন্স কোন প্রভাব ফেলেনি বলে স্বীকার করেছেন সিরাজ, ‘প্রতিটি দলেরই পরবর্তী ম্যাচের আগে বিশ্রামের সুযোগ আছে। আর সেই সময়ের মধ্যে নিজেদের পারফরমেন্স নিয়ে চিন্তা করার ও সঠিক কৌশল খুঁজে বেরা করার সময় পাওয়া যায়।

 

একটি বাজে দিন মানেই আমি বাজে পারফর্মার না। আজকের ম্যাচে বিশেষ করে শফিকের উইকেটটি নেবার পরিকল্পনা ছিল, তাতে আমি সফল হয়েছি। আমি আমার আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে বোলিং করেছি, আগের ম্যাচের পারফরমেন্স নিয়ে মোটেই বিচলিত ছিলামনা।’

 

সিরাজকে যথেষ্ঠ সহযোগিতা করেছেন দলের অপর বোলরারা। জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদ্বীপ যাদব, রবিন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়া প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট দখল করেছেন। সিরাজ বলেন, ‘আমাদের বোলিং বিভাগ বিশ্বকাপে খুবই ভাল করছে। এমন নয় যে শুধুমাত্র একজন বোলার পারফর্ম করছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। কোন ম্যাচে উইকেটের দেখা না পেলে সেই বোলারের চেষ্টা ছিল যতটা সম্ভব রান আটকে রাখা। এবাবেই দলের সাফল্য এসেছে।’

 

এ পর্যন্ত তিন ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে ১০ দলের টুর্ণামেন্টের টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত। সিরাজ বলেন, ‘এটা বিশ্বকাপের ম্যাচ। শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান নয় প্রতিটি ম্যাচই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নির্দিষ্ট দিনে ঐ ম্যাচটির উপর গুরুত্ব দিতে চাই। নিজেদের পরিচিত পরিবেশে বিশ্বকাপ জয়ে এর চেয়ে ভাল সুযোগ আর হতে পারেনা।’

 

ভোরের আকাশ/নি