আশ্বিনের ভোরের ঘন কুয়াশা, বাতাসে ঠান্ডা শিরশির অনভূতি, ঘাসের ওপর চিকচিক শিশির কণা, সকাল ৮টা পর্যন্ত হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শরতের বিদায় ও হেমন্তের আগমনক্ষণে পাবনার ঈশ্বরদীতে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। রোববার সকালে ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঈশ্বরদী পৌর শহরের মধ্য অরণকোলা এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ হলো রাতে শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। কিন্তু দিনে সূর্যের তাপ ছড়ালে গরম লাগে। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে পুরো এলাকা ঢাকা ছিল। সড়কের হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়।
পৌর শহরের ইস্তা এলাকার শিপন আলী বলেন, সকাল ৬টায় প্রতিদিন কাজে যেতে হয়। রোববার সকালে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের হেড লাইট জ্বালাতে হয়েছে। ১০ গজ দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। চলতি মাসে আরো কয়েকদিন ভোরে কুয়াশা পড়েছে তবে রোববার খুব বেশি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক আহসান আলী বলেন, প্রতিদিন সকাল ৭টার মধ্যে কর্মস্থলে যেতে হয়। কুয়াশার কারণে সকালে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই একটু দেরি হয়ে গেল। আবার সড়কে গাড়ি চলাচল করছে ধীরগতিতে। তবে রোববারের কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছিল শীত চলে এসেছে।
অটোবাইকচালক আব্দুল আলিম বলেন, প্রতিদিন ভোর ৫টায় অটোবাইক নিয়ে রাস্তায় বের হই। রোববার ভোরে এত কুয়াশা ছিল যে রাস্তায় কোনো কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তাই গাড়ি না চালিয়ে কিছুক্ষণ আলহাজ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে যাত্রীদের চাপাচাপিতে গাড়ি চালানো শুরু করি। সকাল ৮টার পর থেকে কুয়াশা কমতে শুরু করে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। রোববার ভোরে প্রচন্ড কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন ছিল। প্রকৃতিতে শীতের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি