logo
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:০৫
জানুয়ারির আগে জামিন মিলছে না মামুনুল হকের
অনলাইন ডেস্ক

জানুয়ারির আগে জামিন মিলছে না মামুনুল হকের

নাশকতার আলাদা দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আবেদন মঞ্জুর না করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩ মাস (স্ট্যান্ড ওভার) মূলতবি করেছেন আদালত। এ সময় আপিল বিভাগ শেষ বারের মত রাষ্ট্রপক্ষকে চার্জশিট জমা দিতে বলেছেন।

 

আপিল বিভাগ বলেন, না হলে জামিন হয়ে যাবে জানুয়ারিতে। মামুনুল হকের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশিচিত করেছেন।

 

সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

 

এর আগে ১০ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ ৩ মাসের জন্য মামুনুল হকের জামিন শুনানি স্ট্যান্ডওভার করেছিলেন।

 

গত ৩ মে ২০১৩ ও ২০২১ সালে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে পল্টন ও হাটহাজারীর দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে ১৩টি এবং হাইকোর্টে ৫টি।

 

২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

 

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাতসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জান্নাতকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।

 

এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুল হকের নামে।

 

ভোরের আকাশ/নি