logo
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:০৩
বিলুপ্তির পথে তালগাছ
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

বিলুপ্তির পথে তালগাছ

পটুয়াখালীর দশমিনার গ্রামে তালগাছ

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে বিলুপ্তির পথে তালগাছ। ৩,২২১.৩১ বর্গকিলোমিটার এই পটুয়াখালী জেলার ৮টা উপজেলার ৮৮২টি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় একসময় পরিপূর্ণ ছিল তালগাছে। পরিবেশবান্ধব তালগাছ গ্রাম-বাংলা থেকে আজ বিলুপ্তির পথে।

 

তালপাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, তালপাতার চাটাই মাদুর, হাতপাখা, পুতুল, লেখবার পুঁথিসহ ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরি হয় এমনকি তালের কাট দিয়ে বাড়ি ও নৌকা তৈরি করা হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে গ্রামাঞ্চল থেকে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ তালগাছ।

 

তাল ফল এবং বীজ দুই-ই সুস্বাদু খাদ্য। তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা থেকে মিছরি, গুড়, পাটালি, তৈরি করা হয়। তালে রয়েছে ভিটামিন এবিওসি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। তালগাছে বাবুই পাখির সুনিপুণভাবে তৈরি পাতার সঙ্গে ঝুলানো বাসা সকলেরই পরিচিত।

 

আজকাল আর আগের মতো গ্রামগঞ্জে শত শত পাখির কিচির-মিচির ডাক আর মনোরম দৃশ্য দেখা যায় না। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি হয়ে উঠছে বিরাগভাজন। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়া, আবার অতিবৃষ্টি, কালো মেঘের বজ্রপাতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা এত বেশি যা ভাবিয়ে তুলছে। এ অবস্থায় তালগাছ রোপণ, হেফাজত ও রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ প্রয়োজন।

 

উপজেলার কৃষক রফিক বলেন, তালগাছের পুরো অংশই মানুষের উপকারে আসে। এ গাছ রোপণ করলে তাতে বেশি জমি দখল করে না এবং জমির ক্ষতি হয় না। এ গাছের জন্য কোনো সার ওষুধ ব্যবহার করতে হয় না। পরিচর্যাকারীর প্রয়োজন হয় না। রোপণ করার ৮ থেকে ১২ বছর পরে তাল গাছে ফল ধরে। এ গাছ খুব শক্তপোক্ত হওয়ায় ঝড়-বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। কৃষক দাবি করে বলেন, এ বিষয়ে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা এবং তদারকি থাকলে হয়তো গাছগুলো একটু বেশি করে রোপণ করা যেত।

 

এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর আহম্মেদ বলেন, তালগাছ রোপণের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করি এবং গতবছর বেতাগী ও দশমিনা সদর কৃষকদের মাঝে ৫০০ আটি দিয়েছি। কিন্তু আগের তুলনায় তালগাছ একটু কম। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই।

 

ভোরের আকাশ/নি