গাইবান্ধায় মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। কথায় আছে স্বাদে ভরা রসমঞ্জুরীর ঘ্রাণ, চরাঞ্চলের ভুট্টা-মরিচ গাইবান্ধার প্রাণ। কৃষির নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। এ জেলায় নানা ধরনের ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা প্রতি বছরেই মরিচের আবাদ করে থাকে। এ বছর গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় মরিচের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে (২৩ অক্টোবর) সোমবার সকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ক্লাবের মোর এলাকায় ২বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করেছেন মিঠু প্রধান ও অশোক কুমার। তারা দুজনেই পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২,০৭০ হেক্টর। যা ইতি মধ্যেই অর্জিত হয়েছে ১৪০ হেক্টর। এর মধ্যে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে ০.৬০ হেক্টর অথার্থ ১ একর জমিতে।
কথা হয় মরিচ চাষি মিঠু প্রধানের সঙ্গে, তিনি বলেন এত দিন আমরা মরিচ চাষ করেছি এমনি ভাবেই, কিন্তু তাতে দেখা যায় যে বৃষ্টি হলেই মরিচের গাছের গোরায় পানি আটকে যায় তাতে করে গাছ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে লোকসান হয় আমাদের। এজন্যই চলতি মৌসুমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে মাটি এবং গাছকে ঢেকে রাখার জন্য মালচিং পদ্ধতিতেই মরিচ চাষ করবো। আশা করছি এ পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পাবো।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম ভোরের আকাশকে বলেন, মরিচ চাষ হচ্ছে এ জেলার একটি ব্যান্ডিং ফসল, বিশেষ করে চরাঞ্চলে। তাই কৃষকরা দিন দিন মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। মরিচ চাষে কিভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হবেন তা নিয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ভোরের আকাশ/নি