logo
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৩৪
আউটার রিং রোডের সাথে সংযুক্ত হলো চট্টগ্রাম শহর, কমবে ভোগান্তি
মো. ইব্রাহিম শেখ, চট্টগ্রাম

আউটার রিং রোডের সাথে সংযুক্ত হলো চট্টগ্রাম শহর, কমবে ভোগান্তি

চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ফ্লাইওভার

পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত ‘চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্পের আওতায় উত্তর কাট্টলি থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ফিডার রোড-৩ এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রোববার প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ৪ লেনের এই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ রোববার বিকেল ৪টায় ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন। এর ফলে আউটার রিং রোডের সাথে সংযুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম শহর। এতে ভোগান্তি কমবে।

উত্তর কাট্টলি থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কটি চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী পণ্যবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলো সরাসরি রিংরোড হয়ে টোল রোডে উঠতে পারবে। একইভাবে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো এ সড়ক ব্যবহারের মাধ্যমে নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে। ফলে চাপ কমে যানজটমুক্ত হবে অলংকার থেকে সিটি গেট পর্যন্ত পুরো এলাকা। একইভাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ হয়ে রিং রোড থেকে আসা যানবাহনগুলো সহজেই কম সময়ের মধ্যে সাগরিকা হয়ে নগরীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করতে পারবে।

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণ’ নামে এ প্রকল্পের আওতায় ১৭.৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। এর মধ্যে ১৫.২০ কিলোমিটার মূল সড়ক ও ২.১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটির নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

এ প্রকল্পের অধীনে সাগরিকা স্টেডিয়াম থেকে বেড়িবাঁধ ফিডার রোড-৩ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। রেলওয়ের আপত্তিতে ফিডার রোড-৩ এ সাগরিকা জহুর আহম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন অংশে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন আটকে ছিল। যার কারণে প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৫২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

 

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্ বলেন, এই ৪ লেনের ফ্লাইওভারটি নির্মাণের ফলে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ হয়ে রিং রোড থেকে আগত যানবাহনগুলো সহজেই কম সময়ের মধ্যে সাগরিকা হয়ে নগরীর অভ্যন্তরে যেমন-আগ্রাবাদ, হালিশহর, দেওয়ানহাট, পাহাড়তলী, খুলশী, জিইসি, ২নং গেট, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে পারবে। একইভাবে নগরীর অভ্যন্তরের যানবাহনগুলো কম সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে পারবে। এ ছাড়াও, ফ্লাইওভারটি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যাতায়াতের জন্য একটি কানেক্টিভিটি হিসেবে কাজ করবে।

 

তিনি আরো বলেন, ‘ফিডার রোড-৩, অংশে ফ্লাইওভারের উচ্চতা নিয়ে, রেলওয়ে থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিমাপের উচ্চতার কথা বলা হয়েছে। এ জটিলতা নিয়ে দীর্ঘসময় আমরা কাজ করতে পারিনি। সম্প্রতি জটিলতা শেষে আমরা ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করি। প্রায় ৯০০ মিটারের এই সড়কের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি