logo
আপডেট : ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:৫৩
সাংবাদিক রহমান মাসুদকে অপহরণের ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক রহমান মাসুদকে অপহরণের ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক খবরের কাগজের বিশেষ প্রতিনিধি মাসুদুর রহমানকে (রহমান মাসুদ) অপহরণ করে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

 

আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ উদ্বেগ জানান। বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। অপহরণের ঘটনায় রহমান মাসুদ রাজধানীর যাত্রীবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। মামলা নং ১০০।

 

রহমান মাসুদ এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২৭/১০/২০২৩ তারিখে রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল যোগে রওনা হয়ে একই তারিখ রাত্র অনুমান ৮ টায় যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাজলা ফাতেমা নাজ পেট্রোল পাম্পের সামনে আসার পর আমার মোটরসাইকেলটি রেখে পাশের দোকানে চা পান শেষে মোটরসাইকেল-এর কাছে যাওয়ার পর পিছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন লোক আমাকে এলোপাথারীভাবে মারধর শুরু করে। বিবাদীরা আমাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। বিবাদীদের আঘাতের ফলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।

 

পরবর্তীতে আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পাই আমি একটি অন্ধকার জঙ্গলে আছি এবং আমার পাশে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন পুরুষ লোক দেখতে পাই। তখন বিবাদীদেরকে টাকা দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগসহ আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে বিবাদীরা আমার ব্যবহৃত একটি Samsung A51 মোবাইল ফোন, যার মধ্যে সিম নং ০১৭৩৯৪৯২৫১৭ রক্ষিত ছিল, যার মূল্য অনুমান ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা, একটি হাত ঘড়ি, মূল্য অনুমান ৬৬,০০০/- (ছিষট্টি হাজার) টাকা, পকেটে থাকা মানিব্যাগ এর ভিতর নগদ ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা নিয়ে নেয়।

 

বিবাদীরা আমার মোবাইল ফোন নিয়া আমার আত্মীয়-স্বজনদের নিকট হতে নগদ টাকা আনিয়া দেওয়ার জন্য আমাকে মারধর করতে থাকে। তখন আমি প্রাণে বাঁচার আশায় আমার পরিচিত রিয়াজ উদ্দিনকে টাক দিতে বললে সে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নং -০১৭৩৯৪৯২৫১৭ নম্বরে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা প্রেরণ করেন। বিবাদীরা উক্ত টাকা উত্তোলন করে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৮/১০/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুর-বন্দর সড়কের উপর রেখে চলে যায়।

 

প্রকাশ থাকে যে, বিবাদীরা আমাকে ছেড়ে দেওয়ার সময় আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন স্বীকারোক্তি আমার নিকট হতে নেওয়া মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।

 

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিক রহমান মাসুদের সাথে সংঘটিত এমন ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি