সীতাকুন্ডে রূপবান শিমসহ শীতকালীন সবজি চাষে কৃষি পরিবারে বাড়ছে আগ্রহ। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষি জমিতে দেখা যাচ্ছে শীতকালীন সবজির সবুজ বিপ্লব।
উপকূলীয় মহানগর, পশ্চিম সৈয়দপুর, কেদারখীল, ভাটেরখীল, মুরাদপুর, গুলিয়াখালী, অলিনগর, নড়ালিয়া ও আকিলপুরে রূপবান শিমসহ আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনে কৃষি জমির বাজারমূল্যসহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভৌগোলিক গুরুত্ব। উৎপাদিত সবজির মধ্যে শিম ছাড়াও বরবটি, ঝিঙ্গা, টমেটো, শসা, মুলা, ঢেঁরস, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি লাউ, জালিকুমড়া, চালকুমড়া, কইডা ও চিচিঙ্গাসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের আগাম শীতকালীন সবজি। দক্ষিণ মহাদেবপুরে শামসুর নূরের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি জানান, তার আঠারো শতক জমিতে এবার রূপবান শিম গাছের ফুল ও লতায় মাচা ভরে গেছে। মাচায় ফুল এবং কচি শিমের গন্ধে দারুণ খুশি এ চাষি। শিমের বাম্পার ফলনে শামসুর নূরের পরিবারে বিরাজ করছে স্বপ্নের আলো। পার্শ্ববর্তী জমিতে মাচার ফাঁকে বালাইনাশক স্প্রে করছিলেন আরেক চাষি সফিউল আলম।
চাষি জানান, এবার বসতবাড়ী সংলগ্ন জমিতে রূপবান শিম ও বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করেছেন তিনি। বিভিন্ন পোকা-মাকড়, সাদা মাছি ও লাউ ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় নিয়মিত স্প্রে করছেন তিনি। এবার লাউ উৎপাদনে ভালো বাজার মূল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান তিনি।
সীতাকুন্ড বাজারে দক্ষিণ মহাদেবপুরের সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকার কথা জানান পৌরসদরস্থ বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাসান সাহাব উদ্দিন।
কেদারখীলের বাসিন্দা ও পৌরসদরস্থ ব্যবসায়ী মো. নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, এক সময় উপজেলায় উপকূলীয় কৃষি জমির ক্রেতা খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। তখন কৃষি জমি বিক্রি হতো নামমাত্র মূল্যে। উপকূলীয় এলাকায় শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজির বাম্পার ফলনে বর্তমানে সেই দিন আর নেই। এখন অবহেলার পরিবর্তে দেখা দিয়েছে সম্ভাবনা।
তিনি আরো বলেন, চাষিরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা পেলে ফসলের গুণগতমান ও উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনে চাষিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফসলি জমিগুলো কয়েক দফা পরিদর্শন করা হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি