ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজসহ আরো একজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর ব্যক্তি হলেন গোলাম কিবরিয়া।
এর আগে আমিনুল হক ও মিরাজসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার রাত পৌনে ৪টার দিকে গুলশানের হোটেল আমারির উল্টো পাশের বিল্ডিং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইউসুফ মিয়া আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আমিনুল হকের পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে- ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকে সরকারবিরোধী ও উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সমাবেশে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরে হামলা করে মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার ইঙ্গিত দেয়। ওই উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে রমনা থানাধীন মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও এর অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। সেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যগণ দুষ্কৃতিকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর ত্রিমুখীভাবে পুলিশের ওপর ইট পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নীচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নি সংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট পাটকের, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হয়। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুইটি শর্টগান, একটি চায়না রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
ভোরের আকাশ/আসা