দ্বিতীয় দফায় বিএনপির ডাকা অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে শান্তি মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের চার বারের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নাসিম ওসমানের সন্তান যুবনেতা আজমেরী ওসমান। রোববার সকালে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে নগরীর প্রধান সড়কসহ মহাসড়কে গাড়িবহর নিয়ে অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিশাল শান্তি মিছিল করেছেন আজমেরী ওসমান।

সকালে সাইন বোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকাসহ পাড়া-মহল্লা, বঙ্গবন্ধু সড়কে বিএনপির ডাকা অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল ও মোটরসাইকেলের বহর দিয়ে শান্তি শোভা যাত্রা কর্মসূচি পালন করেন যুবনেতা আজমেরী ওসমান। প্রতিবাদ মিছিলটিতে সামনে থেকে আজমেরী ওসমান নেতৃত্ব দেন। এ সময় সরকারের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই, শেখ হাসিনার ভয় নাই। ডাক দিয়েছেন আজমেরী ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই। আজমেরী ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা আছি একসাথে।’

আজমেরী ওসমানের কর্মী-সমর্থকরা এ সময় বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের চার বারের নির্বাচিত প্রয়াত সংসদ সদস্য যিনি নারায়ণগঞ্জের সকল উন্নয়নের একক রূপকার। যিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বদলা নেয়ার অন্যতম সেনাপতি। তিনি আমাদের গণমানুষের নেতা নাসিম ওসমান। আজ উনার আদর্শ বুকে ধারণ করে তারই একমাত্র পুত্র, নারায়ণগঞ্জের যুব সমাজের অহংকার ও তারুণ্যের আইকন গরিব মানুষের আশ্রয়স্থল আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে এই নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছি। যুব সমাজ আজ প্রস্তুত ওদেরকে মোকাবিলা করার জন্য। আমরা স্পষ্ট ভাষায় আমাদের নেতা আজমেরী ওসমানের পক্ষ থেকে বলতে চাই, এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে কোনো ধরনের নাশকতা বা কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। মানবতার মানসকন্যা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। দেশের ও জনগণের জান-মালের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন করা হলে আমরা আজমেরী ওসমানের নির্দেশে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার, আলী হায়দার শামীম, কাজি আমীর, হামিদ, নাসির, খায়রুদ্দিন মোল্লা, সুমন,ইফতি, মনির হোসেন, হোসেন, দিপু, আলম, শাকিলসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ভোরের আকাশ/মি