logo
আপডেট : ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:১২
১৬ কোটি টাকার সড়কে বড় বড় গর্ত
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

১৬ কোটি টাকার সড়কে বড় বড় গর্ত

১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে

নরসিংদীর মনোহরদীতে উপজেলা গার্লস স্কুল মোড় থেকে ড্রেনের ঘাট পর্যন্ত ৭ কিমি সড়কে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিন বছর না যেতেই প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির এমন দশায় প্রশ্ন উঠেছে কাজের মান নিয়ে। এলাকাবাসীর ধারণা, সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও নিয়ম না মেনে কাজ করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

 

মনোহরদী উপজেলা গার্লস স্কুল মোড় হতে ড্রেনেরঘাট পাকা রাস্তাটি তিন বছর আগে পুনঃনির্মাণও প্রশস্তকরণের কাজ সমাপ্ত হয়। এরই মধ্যে সড়কের পশ্চিম পাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়কের নিচের মাটি আগলা হয়ে সরে যায়। এতে সড়কে বিপজ্জনক বড় বড় ২১টির বেশি গর্তের সৃষ্টি হয়।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসী সড়কের ২১টি গর্তের ভিতরে কাঠির মাথায় পলিথিন ও ন্যাকড়া টানিয়ে পথচারী ও যানবাহন চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের সতর্কতা জারি করেন যাত দুর্ঘটনা রোধ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক গর্ত হচ্ছে মনোহরদী পৌর এলাকার সিমের গোপাট সংলগ্ন স্থানের। এর একটি গর্তে পল্লীবিদ্যুতের তারবাহী বৈদ্যুতিক খুঁটি পর্যন্ত দেবে যেতে দেখা গেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় পল্লীবিদ্যুৎ সেই জায়গার খুঁটিতে একটি ঠ্যাশ ব্যবহার করে এর পতন রক্ষা করেছে। এসব গর্ত দ্রুত মেরামত করার প্রয়োজন বলে দাবি এলাকাবাসীর।

 

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কটি বছর কয়েক আগে পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণ কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ সমাপ্ত করেন। আমরা এ কাজে বাধা দিলেও কর্ণপাত করেনি।

 

সড়কটির ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গাইড ওয়াল দিলেও তা বছর না যেতেই নষ্ট হয়ে যায়। সড়কের পাশে মাটি ধরা থাকা সত্তে¡ও নামমাত্র মাটি ভরাট করে সাপোর্ট দেয়ার কারণেই এখন সামান্য বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে এসব গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানান, গত বর্ষার প্রবল বর্ষণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব নিরসনে সীমিত পরিসরে রাস্তাটির সংস্কারকাজ চলমান।

 

ভোরের আকাশ/নি