logo
আপডেট : ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৫
উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনিয়মের তদন্ত শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

উপনির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনিয়মের তদন্ত শুরু

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।

 

বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জয়নাল আবেদিন তার সঙ্গে ছিলেন। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

 

আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা, তালশহর পশ্চিম ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের ৪ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৮ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৬ জন পোলিং অফিসার ছাড়াও কেন্দ্রে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ, আনসার সদস্যদের বক্তব্য শুনবেন তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভোটে অনিয়মের খবরের বিষয়ে তদন্ত করে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরই প্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

 

এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এর আগে, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।

 

নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ' নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, বিশ্বাস বাবুর মৃত্যু হয়েছে।'

 

ভোরের আকাশ/নি