logo
আপডেট : ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০৯:৪৯
ফল ও ফুল উৎপাদনে ২০১ কোটি টাকার প্রকল্প
ভোরের আকাশ ডেস্ক

ফল ও ফুল উৎপাদনে ২০১ কোটি টাকার প্রকল্প

আধুনিক সেচ প্রযুক্তি ও পলিশেড নির্মাণের মাধ্যমে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য, ফল ও ফুল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ২০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি এবং পলিশেড নির্মাণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন’ শীর্ষক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প এলাকায় সবজি, ফল ও ফুলশেড (পলি হাউস) নির্মাণ করা হবে। ড্রিপ ইরিগেশন এবং স্প্রিংকলার সেচ স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মালামাল, মাইক্রো ইউভি পলিসহ আনুষঙ্গিক মালামাল, সোলার পাম্প মনিটরিং নেটওয়ার্ক ডিভাইস স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মালামাল সরবরাহ করা হবে। ডাগওয়েল নির্মাণ ও সৌর প্যানেল স্থাপন করা হবে। দুই হর্স পাওয়ার পাম্প স্থাপন করা হবে।

 

১-কিউসেক বিদ্যুৎ চালিত পাম্প এবং সৌরশক্তি চালিত পাম্পসেট স্থাপন ও পাম্প হাউস নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি গত ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে।

 

প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, স্মার্ট ক্লাইমেট টেকনোলজি ব্যবহার ও সৌরশক্তি চালিত পাম্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে। একইসঙ্গে প্রকল্প এলাকায় ১ হাজার ৩৫০ জন কৃষকের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও পুষ্টি নিরাপত্তা বাড়ানো যাবে। দেশের ৬টি বিভাগের ২১টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প।

 

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে ৩৯ হাজার ৬১৩ দশমিক ৪১ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা বাড়বে। ফলে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ২৪ হাজার টন খাদ্যশস্য, ৩ হাজার ২৬২ দশমিক ৫০ টন ফল ও ২২৫ লাখ পিস ফুল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফলে প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

 

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়িত হবে। এর মাধ্যমে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

 

ভোরের আকাশ/নি