logo
আপডেট : ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:৫৮
শীতের সন্ধ্যায় সুস্বাদু পিঠা বিক্রির ধুম
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

শীতের সন্ধ্যায় সুস্বাদু পিঠা বিক্রির ধুম

দিনাজপুরের খানসামায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে মুখরোচক শীতের পিঠার। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে দেখা যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় জমজমাট থাকে ভ্রাম্যমাণ এসব পিঠার দোকান। সেখানে ভিড় জমে মানুষের।

 

খানসামা উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মোড়ে ও পাড়া-মহল্লায় হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ শীতের পিঠার দোকান নিয়ে বসেছে। খানসামা বাজার, বাবুর হাট, কালিতলা, পাকেরহাট বাজার, বটতলা বাজার, জয়গঞ্জ বাজার, বুড়ির বাজার, বাংলা বাজার, মেডিকেল মোড়, কালির বাজার, বোটের হাট, নিতাই বাজার, টংগুয়া বাজার, ইছামতী নদীর পার উকিলের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় এসব পিঠার দোকানের দেখা মেলে। মূলত সেখানে ভাপা ও চিতই পিঠা, হাঁসের ডিমের তৈরি পিঠা হচ্ছে। ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠার স্বাদ পেতে সন্ধ্যায় গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে অনেকেই ভিড় করছে সেখানে।

 

প্রতিটি পিঠার দাম ৫ থেকে ১০ টাকা। আবার অনেক দোকানি চিতই পিঠার মধ্যে ডিম দেন। এই ডিম চিতই পিঠা প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। শিশু-কিশোর, দিনমজুর, রিকশাচালক, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পিঠার দোকানে ভিড় করে। অনেকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় পিঠা নিয়ে যান বাড়িতে। পিঠা বিক্রেতাদের বেশিরভাগই জানান, শীতের মৌসুম এলেই তারা কেবল এ ব্যবসায় জড়ান। বছরের অন্যান্য সময় তারা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় শ্রম দেন।

 

পিঠা বিক্রেতা আনিছুর জানান, এ বছর শীতের আগমন আগাম। তাই পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে প্রায় কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। নারিকেল, গুড় ও চালের গুঁড়া দিয়ে ভাপা পিঠা বানালেও চিতই পিঠার সঙ্গে এসব দোকানিরা দিচ্ছেন সরিষার ভর্তা, মরিচের ভর্তা ও ধনেপাতা ভর্তা।

 

পাকেরহাট বাজারের পুরাতন হাঁসহাটি রোডের পিঠা বিক্রেতা মোছা বেগম জানান, প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। যা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ তার সংসার চলছে। তবে শীত শেষ হলেই তিনি আবারও অন্য পেশায় চলে যাবেন।

 

এসব দোকানে পিঠা খেতে আসা মানুষেরা জানান, শীতে পিঠা খেতে ভালো লাগে। দাম কম হওয়ায় তা আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। অফিস ফেরত অনেকেই বাসার জন্য নিয়েও যান। আবার অনেকে দল বেঁধে আসেন আড্ডার সঙ্গে পিঠা খেতে।

 

উপজেলা পাকেরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. রশিদুল ইসলাম বলেন, বাসায় এখন পিঠা তৈরি করা অনেক কষ্টকর ও ঝামেলা মনে হয়। বাজারের পিঠা আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক পছন্দ। আমি প্রায়ই ভাপা ও চিতই পিঠা ক্রয় করে নিজে খাই এবং বাসার লোকজনের জন্য কিছু নিয়ে যাই। দরিদ্র লোকজন এসব ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান দিয়েছেন। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও দোকানে পিঠা বিক্রি করছেন। স্বল্প সময়ে বেশকিছু দরিদ্র মানুষের এর মাধ্যমে বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি