সাবমেরিন বিধ্বংসী রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ‘অ্যাডমিরাল ত্রিবুতস’ ও ‘অ্যাডমিরাল প্যানতেলেইয়েভ’ এবং জ্বালানিবাহী ট্যাংকার ‘পেচেনগা’ এসেছে বাংলাদেশে। গত ১২ নভেম্বর রোববার রাশিয়ার এই তিন যুদ্ধ জাহাজ ভিড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
এর আগে ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশকে রক্ষায় এসেছিলো রুশ যুদ্ধজাহাজ। তারই ৫০ বছর পর বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরে ভিড়লো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মান্টিটঙ্কি তাসকে বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে রক্ষা করতে এসেছিল রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় অনেক মাইন ছিল। সেখানে অনেক নৌযান ডুবে ছিল।
মাইন সমস্যা সমাধানে সেই সময়ে অনেক দেশের কাছে সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। কয়েকটি দেশ বিপুল অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু তখন বাংলাদেশের অর্থের ঘাটতি ছিল। আর সেই মুহূর্তে মানবিক কারণে শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার ওই অভিযান চলেছিল ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮০০ জনের বেশি সদস্য ২৬ মাস ধরে মাইন সরানোর কাজ করেছিলেন। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁদের একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। তবে সোভিয়েত নৌসদস্যরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিলেন।
চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান জানিয়েছেন-এবার রুশ জাহাজগুলো পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ এক সফরে বাংলাদেশে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যে খুবই উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, তার প্রমাণস্বরূপ রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোর এই সফর।
ভোরের আকাশ/নি