চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে আপন ছোট ভাইদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের গুজরা গ্রামের প্রভাবশালী মিলন শীলের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ছোট ভাইদের পরিবারগুলো ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আনোয়ারা থানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে চলাচলের রাস্তা না থাকায় বিপাকে পড়ছে আপন দুই ছোট ভাইসহ আশেপাশে বেশ কিছু পরিবার।
দেখা যায়, গুজরা গ্রামের মৃত নির ন শীলের চার ছেলে সন্তান রয়েছে। মিলন শীলরা আপন চার ভাই। তারা হলেন মিলন শীল, মৃত মৃদুল শীল, প্রদীপ শীল ও লিটন শীল। এর মধ্যে বড় ভাই মিলন শীল তাদের পৈতৃক সম্পত্তির প্রবেশ পথে ঘর নির্মাণ করে। এসময় স্থানীয় শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সবার জন্য চলাচলের জন্য ৫ফুট জায়গা উন্মুক্ত রাখার কথা থাকলেও পরে তা আর রাখেনি।
এমনকি পাশের ১২ ফুট জায়গা থেকেও ৪ ফুট জায়গা দেওয়ালের ভিতর নিয়ে ফেলছে এমনও অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। মিলন শীলের ছেলে মেয়ে বড় থাকায় প্রভাব কাটিয়ে এভাবে আপন ছোট ভাইদের ও স্থানীয়দের নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী তার আপন ভাই ও স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচটি পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা ইটের দেওয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ পাশের বড় ভাই মিলন শীল ইটের প্রাচীর তুলে হাঁটার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। পূবে ও পশ্চিম পাশে যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই।
জানা গেছে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তসত্ত্বা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। কোন মতে পাশের একটি সরু পথ দিয়ে ঘুরে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা। এদিকে স্থানীয়রা এসব বিষয়ে একাধিকবার সমাধান করতে চাইলে তাদের নানাভাবে হয়রানী করে মিলন শীলের ছেলেরা। এমনকে স্থানীয় বেশ কিছু গন্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়েছে চাঁদাবাজির মামলা।
ভুক্তভোগী লিটন শীল বলেন, শুরু থেকে আমার বড় ভাই বলছে সবার জন্য রাস্তা খোলা থাকবে। পরে ঘর করার পর হঠাৎ লোকজন ভাড়া করে আমাদের হাঁটাচলার রাস্তা জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর করে।
স্থানীয় প্রতিবেশিরা জানায়, মিলন শীল আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আপন ছোট ভাইদের চলাচলের রাস্তাটি ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। পাশের একটি সরু পথ দিয়ে যেতে হয়। যা খুবই কষ্টসাধ্য ও এভাবে যেতে সময় নষ্ট হয়। এমনকি এই মিলন শীল স্থানীয়দের রাস্তার কিছু অংশও প্রাচীরের ভেতর ঢুকাই ফেলছে।
এ বিষয়ে মিলন শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার জায়গায় আমার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি কারো জায়গায় রাস্তা বন্ধ করেনি।
জানা যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য ভূমিমন্ত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধরকে দায়িত্ব দেয়। এবিষয়ে মৃণাল কান্তি ধরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো সমাধান করতে পারিনি এটির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে আমরা স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
ভোরের আকাশ/নি