খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি-জেঠুয়াস্থ কপোতাক্ষ নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণকাজ ২৩ বছরেরও শেষ হয়নি। নদের মাঝখানে খাড়া ১৮টি পিলার দু’পাড়ের লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুলনা এলজিআরডি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জেঠুয়ার সংযোগস্থলে ২০০০ সালের ১২ এপ্রিল ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এন হক অ্যাসোসিয়েট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ৯১৯.৫৫ টাকায় টেন্ডার পেয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে টাকার অংক বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে এ কাজ শুরু হয়।
২০০৩ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত আংশিক কাজ করে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭২২ টাকা খুলনার আই এফআইসি ব্যাংক থেকে উত্তোলণ করা হয়। এরপর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, পিলারের কারণে এখানে নৌ চলাচলে বিষণ্ণ ঘটছে। এ ছাড়া দ্রুত নদটি ভরাট হয়ে গেছে পিলারের কারণে। এজন্য নদীটি ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। কিন্ত ওই পিলারগুলো থাকার কারণে নদের খনন কাজ তেমন কোনো কাজে আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
পরবর্তীতে ব্রিজের কাজ সমাপ্ত করতে ২০০৪ সালে ইসলাম গ্রুপ নামের অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পায়। তারা নির্মাণকাজ শুরু করলে নদের স্রোত বাঁধা পাবে মর্মে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে সেতু নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজসেবক সেকেন্দার আলী বলেন, ব্রিজের দরকার নেই। সর্বসাধারণের ভোগান্তি লাঘব ও নদটি বাঁচাতে পিলার অপসারণ খুবই জরুরি।
কপিলমুনি এলাকার কামরুল আহমেদ বলেন, এখনই যদি ওইসব পিলার অপসারণ না করা হয়, তবে ৩শ কোটি টাকা ভেস্তে যাবে আবারও পলি জমে।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী বলেন, আর কবে হবে কপোতাক্ষ নদের ওপর ব্রিজ, তা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। আর যদি ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব না হয়, তাহলে নদের বক্ষে যে ১৮টি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো অপসারণ করুন।
ভোরের আকাশ/নি