logo
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫৫
আজ থেকে শুরু হচ্ছে শুরু হচ্ছে দু’দিনের জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ থেকে শুরু হচ্ছে শুরু হচ্ছে
দু’দিনের জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ

আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী রোডস্থ স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনের ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ’। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ ও জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করার দাবিতে প্রথমবারের মতো এই সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা 'ওয়াটারকিপার্স'সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে কর্মরত পরিবেশবাদী ২৭টি সংগঠন। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) সামনে রেখে আয়োজিত এই সম্মেলনে দেশী ও বিদেশী অংশীজনদের পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের হুমকিতে থাকা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার ৭ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ নিবেন।

 

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হবে। এরপর সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। বিশেষ অতিথি থাকবেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, তারা ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর সিনান হাউটন ও ইউএনডিপি’র সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরবেন এশিয়ান পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশীদ।

 

সঞ্চালনা করবেন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল।

 

প্রথম দিনে পৃথক তিনটি বিষয়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ‘জীবিকা, খাদ্য এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব’ ‘বিশুদ্ধ শক্তি, জল ও কর্মসংস্থানের অধিকার: জীবাশ্ম জ্বালানী প্রকল্পের সম্প্রসারণের প্রভাব’ এবং ‘বদ্বীপ বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব’ শীর্ষক তিনটি সেশনে দেশী ও বিদেশী অংশীজনদের পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের হুমকিতে থাকা সাত শতাধিক নিবন্ধিত প্রতিনিধি অংশগ্রহণ নিবেন। আগামী শনিবার বেলা ৩টায় সমাবেশ মঞ্চে গৃহীত ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে দুই দিনের সমাবেশ শেষ হবে।

 

এ বিষয়ে সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল জানান, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের দায় আমাদের না থাকলেও, উন্নত দেশসমূহের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধির লাগামহীন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মত দেশসমুহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাবের শিকার। তাই জলবায়ু সম্মেলনকে (কপ-২৮) সামনে রেখে উন্নত দেশগুলোর প্রতি জোরালো চাপ সৃষ্টি ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানাতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। তিনটি স্তরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে সাধারণ মানুষ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন। আগামী জলবায়ু সম্মেলনে তাদের ওই সকল মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। যা নীতি নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

 

সমাবেশের আয়োজক হিসিবে থাকছে ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা, গণসাক্ষরতা অভিযান, সেন্টার ফর আত্মস্ফেরিক পলিউশন (সিএপিএস), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি (জিএলটিএস), ইন্ডিজিনাস পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস (আইপিডিএস), লোকাল এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট এন্ড এগ্রিকালচার সোসাইটি (লিডার্স), ন্যাশনাল রিভার আলাইন্স, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং ওয়াটারকিপার্স-বাংলাদেশ।

 

সমাবেশের সহ-আয়োজক হিসেবে আছে, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ (বিএআরসিআইকে), এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইআরডিএ), রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি), রিভার বাংলা ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এনডিএফ), এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট ফর ডেপ্ত এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি), এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্ক (এইএন), জাপান সেন্টার ফর এ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোসাইটি (জেএসিএসইএস), ৩৫০.ওআরজি সাউথ এশিয়া, ওয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল (ওসিআই), ইনষ্টিটিউট অফ এনার্জি ইকোনমিক্স এন্ড ফিনান্সিয়াল এনালাইসিস (আইইইএফএ), এলডিসি ওয়াচ, গ্লোবাল গ্যাস এন্ড অয়েল নেটওয়ার্ক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ওয়াটারকিপার এলায়েন্স।

 

ভোরের আকাশ/মি