logo
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:২৪
ঘূর্ণিঝড়ে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের
বরগুনা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড়ে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

 

গভীর রাত থেকে ভারী বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে কখনও কখনও মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে। এ অঞ্চলে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করেছে বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

 

পায়রা বন্দরসহ সব সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষখালী নদীর তীরবর্তী মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পেয়ে গভীর রাত থেকে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে।’


এছাড়া বেতাগী উপজেলার পূর্বদিকে পায়রা ও পশ্চিম দিকে বিষখালী নদী। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলেই আতঙ্কে স্থানীয়দের নির্ঘুম রাত কাটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।’

 

অতীতের তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সেই ভয়াল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর নামে আরো একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা, ২০১৬ সালের ২১ মে রোয়াণু, ২০১৭ সালের ৩০ মে মোরা, এরপর মহাসেন, ২০১৯ সালের ২ মে ফণী, ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান, মোখা, হামুনসহ অতীতের ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের প্রাণহানিসহ গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়।

 

ভোরের আকাশ/