logo
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৪০
নাশকতা প্রতিরোধে যাত্রীবেশে র‍্যাব
উত্তরা প্রতিনিধি

নাশকতা প্রতিরোধে যাত্রীবেশে র‍্যাব

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ও পরবর্তী সময়ে অবরোধে গাড়ি পোড়ানোসহ নানা সহিংসতার দায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুমকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তিনি বিভিন্ন স্থানে একাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালান বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

 

র‍্যাবের দাবি, গ্রেফতার মাসুম অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে সেটির ভিডিও ধারণ করতেন। পরে সেই ভিডিও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠাতেন।

 

গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও নাশকতা এড়ানোর কথা তুলে ধরে র‍্যাব জানায়, সড়কে যানবাহনে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহনে অবস্থান করছেন র‍্যাব সদস্যরা।

 

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

 

খন্দকার আল মঈন বলেন, অবরোধ চলাকালীন শুরুর সময় থেকে পরবর্তী সময় থেকে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী যানবাহন ও তেলবাহী লরি মিলিয়ে ১৭ হাজারের বেশি গাড়িকে স্কট প্রদান করেছে র‍্যাব। ২০০-এর বেশি কনভয়কে স্কট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা এটা করছি যাতে অর্থনৈতিক চেইনটা ঠিক থাকে। আমাদের এই স্কট চলমান রয়েছে। র‍্যাবের চার শতাধিক টহল টিম স্কটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবরোধে ৫০টির বেশি তেলবাহী লরিকে স্কট দিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

তিনি আরও বলেন,  সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন মহাসড়কে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা চালানো হয়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নাশকতার অন্যতম মূলহোতা ও প্রায় ১৫টি নাশকতার মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুমকে (৩৭) শনাক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে মাসুম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়াকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়।

 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, সাদাপোশাকে ও যাত্রীবেশে গণপরিবহনে অবস্থানের র‍্যাবের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়া, আমরা হামলার জায়গাগুলো শনাক্ত করছি, বাস মালিকদের সঙ্গে বসছি, যারা যে সহায়তা চায় দিচ্ছি। এর ফলে চলন্ত গাড়িতে কিন্তু অগ্নিসংযোগ কমেছে। বাসমালিকদের অনুরোধ করবো যাতে নির্জন স্থানে যানবাহন না রাখেন, তাহলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ দুরূহ হবে।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, তফসিল ঘোষণা হয়েছে, সংবিধানের ১২৬ ধারা অনুযায়ী সকল নির্বাহী বিভাগ নির্বাচনে সহায়তা করছে। নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত বিভিন্ন নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এ সময়টাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে, যারা চিহ্নিত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা