logo
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০৯:৩৭
গুমাই বিলের ধানে সোনা ঝরা রং, শ্রমিক সংকটে কৃষক
চট্টগ্রাম ব্যুরো

গুমাই বিলের ধানে সোনা ঝরা রং, শ্রমিক সংকটে কৃষক

পাকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে গুমাই বিলের কৃষকরা

শস্যভান্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পেকে গেছে ধান। শুরু হয়েছে ধান কাটা। প্রায় তিন হাজার হেক্টর আয়তনের এই বিলে এক মৌসুমে উৎপাদিত ধান দিয়ে সারা দেশের আড়াই দিনের খাদ্যের চাহিদা মেটানো যায়। বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গুমাইবিলে ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। বন্যায় ৬০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ১০ হেক্টর পাকা-আধাপাকা জমির ধান হেলে গেছে। হেক্টর প্রতি ৫.২ থেকে ৫.৪ টন ফলন পাওয়া গেছে। যেসব ধান পেকেছে, সেগুলো কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এই মেশিনে এক কানি জমির ধান কাটতে ব্যয় হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। আর শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, বিলের ধান কাটা শুরু হয়েছে। রোদ থাকলে আগামি সপ্তাহের দিকে পুরোদমে ধান কাটা হবে। ব্রি-ধান-৪৯, ৫১, ৫২, ৮৭ সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।

 

দেখা গেছে, গুমাই বিলের চারদিকে পাকা ধানের সমারোহ। কেউ ধান কাটছেন আবার কেউবা পরিচর্যায় ব্যস্ত। মাঠে কৃষকের পাশাপাশি ব্যস্ত কৃষাণীরাও। মোকাররম মিয়া নামের এক চাষি বলেন, ৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। ব্রি-ধান ৮৭ জাতের এক একর জমির ধান কাটা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৫.৫ টন ধান পাওয়া গেছে। ধান কাটার শ্রমিকের সংকট আছে।

 

জামান নামের এক চাষি ভোরের আকাশকে বলেন, ধান কাটার জন্য শ্রমিকরা বেশি মজুরি চায়। প্রতি কানি (২০ গন্ডা) জমির ধান কাটতে দিতে হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ধান কাটার এ মৌসুমে নেত্রকোনা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, রংপুর, সাতকানিয়া, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের শ্রমিকেরা এখানে আসেন।

 

দৈনিক দুইবেলা খাবার এবং সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা মজুরিতে গুমাই বিলে ধান কাটেন তারা। রাজনৈতিক অস্থিরতায় এখনও শ্রমিকরা আসেনি।

 

ভোরের আকাশ/নি