logo
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:৩৪
জয়পুরহাটে নবান্ন উপলক্ষে পিঠা পায়েশের প্রদর্শনী
জাহাঙ্গীর আলম খান, জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে নবান্ন উপলক্ষে পিঠা পায়েশের প্রদর্শনী

প্রদর্শনীতে পিঠা পায়েশের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা

বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উপলক্ষে জয়পুরহাটের প্রাণকেন্দ্র শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পিঠা পায়েশ উৎসব। শনিবার দুপুর থেকে নানা রকমের পিঠা পায়েশ নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিল বিক্রেতারা। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ পিঠা পায়েশের স্বাদ নিতে এবং লোক সংগীত ও লোকনাট্য দেখতে ছুটে এসেছিল উৎসব প্রাঙ্গণে।

 

নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন বা নব অন্ন। নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও একেএম আব্দুল আজিজ সংগীত ভুবন, নবনাট্য সংঘ ও একুশে আবৃত্তি পরিষদ আয়োজিত পিঠা প্রদর্শনীতে প্রায় ৩০ জন নারী উদ্যোক্তা পেপের নাড়ু, নারিকেলের নাড়ু, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠা, কস্তুরী পিঠা, কুটুম পিঠা, মিষ্টি বড়া, কালাইপুর, ভেজানো নকশীসহ অন্তত ৫০ রকমের পিঠা প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি এ উপলক্ষে লোকজ সংগীত ও নৃত্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

নবান্ন উৎসব বাঁচিয়ে রাখতে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নবান্ন উৎসব পালন করার দাবি তুলেছেন আয়োজকরা।

 

নবান্ন উৎসবের আয়োজক কমিটির সভাপতি রাজা চৌধুরী বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এই অনুষ্ঠানটি পালন করে। প্রজন্মের প্রতি প্রজন্মের একটা দায়িত্ব তুলে দেয়ার জন্যই আমরা এই উৎসবের আয়োজন করে থাকি। এই উৎসব কৃষকদের একটি বড় উৎসব। বাংলাদেশ কৃষকেরই দেশ, অথচ সরকারিভাবে নবান্ন উৎসব আয়োজন করা হয় না। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আগামীতে এই উৎসব উদযাপনের দাবি জানাচ্ছি।

 

জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, এটা লোকজ উৎসব। বাঙালির ঘরে ঘরে একসময় পালিত হতো এ উৎসব। কিন্তু বর্তমানের শহরের ভাব ধারায় এই নবান্ন উৎসব তেমনটা আর দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে এখানে যে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সেটি আমি অবশ্যই মনে করি বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য একটি ভালো উদ্যোগ। রাষ্ট্রীয়ভাবে এটি পালন করা উচিত। যদিও সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা নেই। কিন্তু বাঙালির লোকজ ঐতিহ্য হিসেবে এটি ধারণ করা উচিত।

 

ভোরের আকাশ/নি