জাতীয় সংসদের আসন ১০৯ বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী আসনে ৭ম বারের মতন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছেন পাঁচবারের সাংসদ, অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। অন্যদিকে প্রথম বারের মতন সংসদীয় আসন ১১০ পাথরঘাটা-বামনা বেতাগী থেকে মনোয়ন লাভ করেছেন, সংরক্ষিত আসন ৩১৫ এর সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
বরগুনা-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন আবেদন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন ২২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। সকলকে মনোনয়ন দৌড়ে পিছনে ফেলে ৭ম বারের মতন দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিলেন বরগুনা-আমতলী ও তালতলী জনপদের কারিশমাটিক নেতা এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি।
বরগুনা - ২ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলীয় মনোনয়ন আবেদন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন মোট ১৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই আসনের তিন বারের সাংসদ আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি সহ বাকীদের পিছনে ফেলে প্রথম বারের মতন মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা নাদিরা ।
বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলীতে ১৯৪৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে জরিয়ে পড়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। এরপরেই তিনি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরবর্তীতে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীও ছিলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় জড়িয়ে থেকে অনেক উত্থান ও স্বৈরশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে প্রথমবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপরে ১৯৯৭ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথমে খাদ্য উপমন্ত্রী পরে নৌ পরিবহন উপমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন লাভ করলেও দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকট হেরে যান। এরপরে তিনি নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বরগুনা-২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভকারী সুলতানা নাদিরা প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু এর সহ ধর্মিণী। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আধিপত্যে থাকা এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়ে গোলাম সরোয়ার টুলু সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন। তিনি নমব সংসদের এমপি থাকা অবস্হায় মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পরে দলীয় মনোনয়ন আবেদন করেও মনোনয়ন লাভ করতে না পারলেও একাদশ জাতীয় সংসদের ৩১৫ সংরক্ষিত সদস্য হিসেবে মনোনীত এমপি হন।
ভোরের আকাশ/ সু