ঢাকার ধামরাইয়ে স্নোটেক্স গার্মেন্টসে প্রোডাকশন কম হওয়ায় নার্গিস আক্তার (৩৫) নামের এক নারী শ্রমিককে পিটিয়ে চোখে গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে সুপারভাইজার মো. সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নার্গিস আক্তারকে দ্রুত সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্নোটেক্স গার্মেন্টসের ভিতরে এমন ঘটনাটি ঘটে।
আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, স্নোটেক্স গার্মেন্টস এর এইচ আর এ্যাডমিন মো. দুলাল মিয়া। তিনি বলেন, নার্গিস আক্তার ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ থেকে সুইং অপারেটর হিসাবে স্নোটেক্স গার্মেন্টসে কাজ করে আসছেন।
সোমবার ভুক্তভোগি নার্গিস আক্তার বলেন, আমি ৯ বছর যাবত স্নোটেক্স গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর হিসাবে কাজ করছি। দক্ষতা অর্জন করায় আমাকে সিনিয়ার অপারেটরের জায়গায় বসায় বৃহস্পতিবার। সেখানে কিছুক্ষণ কাজ করার পর মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়। পরে মেকানিক ডেকে মেশিন ঠিক করে কাজ শুরু করি। ঘন্টায় ৮০পিস প্রোডাকশন হয়। কিন্তু সুপাভাইজার ১০০পিস দিতে বলে। তখন আমি বলি আমাদের ঘন্টায় ৮০পিস দেওয়ার কথা। পরের ঘন্টায় আমি আরও বেশি করবো। এই কথা শুনে সুপাভাইজার সোহাগ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সোহাগ এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে কাঠের একটি বোর্ড ছুরে মারে। বোর্ডটি আমার চোখের নিচে লাগায় গুরুতর আঘাত পাই এবং রক্ত ঝড়তে থাকে। এরপর আমি ফ্লোরে পরে গেলে সোহাগ আমাকে লাথি মারতে থাকে। আমার চিৎকারে পাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে আমাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছি।
এ বিষয়ে সুপারবাইজার সোহাগের সাথে দেখা করতে গেলে কারখানার কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমরা তাকে চাকুরিচ্যুত করেছি’। কিন্তু সোহাগের সাথে দেখা ও মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়নি।
স্নোটেক্স এর এইচ আর এ্যাডমিন মো. দুলাল মিয়া বলেন, সুপারভাইজার সোহাগ নার্গিস এর চোখে আঘাত করেছে ঘটনাটি সত্য। আমরা ঘটনা শুনার পর নার্গিসকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়েছি এবং নার্গিসের চিকিৎসার সকল খরচ কোম্পানী বহন করছে। অভিযুক্ত সুপারভাইজার সোহাগকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
ধামরাই থানার ওসি মো. হারুণ-অর রশিদ বলেন, স্নোটেক্স গার্মেন্টসের কর্মী নির্যাতনের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/ সু