logo
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:০২
সেতু ভেঙে খালে, দুর্ভোগে পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা
জামালপুর প্রতিনিধি

সেতু ভেঙে খালে, দুর্ভোগে পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা

মাদারগঞ্জের গুনারিতলা-ভেলামারি খালের সেতু ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারিতলা-ভেলামারি খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পাঁচ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। সেতুটির দুপাশ ও নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় এর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে আশপাশের অন্তত পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা। দ্রুত সেতুটি অপসারণ ও পুনর্নির্মাণের দাবি তাদের।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে উপজেলার গুনারিতলা-ভেলামারি খালের ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১৯ সালের বন্যায় সেতুটির দুই পাশ ও নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে মাঝখানে ৫-৬ ফুট দেবে গেছে। এরপর থেকে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

 

ভেলামারি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক, বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন জানান, ২০১৯ সালে বন্যার পানির স্রোতে সেতুটির দুই পাশ ও নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এটি ভেঙে যাওয়ায় গুনারিতলা, ভেলামারি, কুলচুরি, জটিয়ারপাড়া, জোড়খালিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ১৫-২০ হাজার মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

 

একই এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ‘সেতুটির পশ্চিম পাড়ের মানুষের বেশিরভাগ ফসলি জমি পূর্ব পাড়ে। আবাদকৃত ফসল বাড়িতে নিয়ে আসতে দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে। সেতুটি দেবে যাওয়ার পানির স্বাভাবিক গতিতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এতে সেতু সংলগ্ন ১৫-২০টি বসতবাড়ি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

 

গুনারিতলা এলাকার তৈবর রহমান বলেন, ‘আগে এই সড়ক দিয়ে উপজেলায় যেতে সময় লাগত ২০-২৫ মিনিট। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ভেলামারি আনন্দবাজার অথবা গুনারিতলা বাজার হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে।

 

সাইদুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই সেতু ভেঙে পড়ে আছে। আমাদের যাতায়াতে কষ্ট হয়, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। এ ছাড়া প্রবীণ ও রোগীদের হাসপাতালে নিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রসূতিকে হাসপাতালে নিতে। সেতুটি সংস্কারের জন্য আবেদন করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।’

 

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, ‘সেতুটি অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ভাঙা সেতুটি সংস্কারের সুযোগ নেই। সেখানে নতুন সেতুর প্রয়োজন। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঢাকা এলজিইডির কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

 

ভোরের আকাশ/নি