নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে তাছলিমা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরো তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার রাত ১১ টার দিকে রূপগঞ্জের বানিয়াদী এলাকায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাছলিমা বেগমের। তিনি রূপগঞ্জের বানিয়াদী এলাকার কবির হোসেনের স্ত্রী। তিনি পেশায় একজন নার্স ছিলেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তাছলিমা বেগমের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া, ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন নামের আরো তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বানিয়াদী এলাকায় একতলা বাড়ির একপাশে দুই কক্ষে কবির হোসেনের প্রথম স্ত্রী তাছলিমা তার এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন। আরেক পাশে দুইটি কক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা তার এক মেয়ে নিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রী তাছলিমা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়িতে আসেন। ঘরের একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। আর আরেকটি কক্ষে থাকতেন দুই ছেলে-মেয়ে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ তার ঘরের ভেতর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। শব্দে দুইটি কক্ষের দরজা ও জানালা ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথে তাছলিমা যে কক্ষে থাকতেন সে কক্ষে আগুন জ্বলে উঠে। এসময় আগুনে দগ্ধ হন তাছলিমা বেগম। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আগুনে দগ্ধ হন তার স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া ও ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন।
স্থানীয়রা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের রাতেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তাছলিমা বেগম।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভোরের আকাশ/ সু