logo
আপডেট : ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:২৪
আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস

পদ্মপুকুর পাড়ে মুক্ত দিবসের স্মৃতি স্তম্ভ

আজ ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত হয়। ৭ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী মানুষ ও সর্বস্তরের জনগণ শহরে মিছিল বের করে বিজয়ের আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল গোপালগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনী প্রবেশ করে মুক্তিকামী মানুষের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ শুরু করে।

 

মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু ভোরের আকাশকে বলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ে (পদ্মপুকুর পাড়ে) ৭১ এর পাক হানাদার বাহিনী মিনি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করে। তৎকালীন পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেন ফয়েজ উদ্দিন (বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে) অবস্থান করতেন।

 

পাকবাহিনী শত শত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী মানুষ ও সংগঠকদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ পদ্মপুকুরে ফেলে রাখত। এ ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকবাহিনী জেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করত। সুন্দরী মহিলাদের ধরে এনে পাশবিক নির্যাতন করত।

 

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে গোপালগঞ্জের মিনি ক্যান্টনমেন্ট ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা গোপালগঞ্জের পাক ক্যান্টনমেন্টে হামলার পরিকল্পনা করে। রাজাকাদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে ৬ ডিসেম্বর রাতে পাক সেনারা ক্যাপটেন ফয়েজের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ সদর মিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে ভাটিয়াপাড়া ক্যান্টমেন্টে আশ্রয় নেয়। ফলে গোপালগঞ্জ ৬ ডিসেম্বর রাতেই শত্রু মুক্ত হয়।

 

৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের মানুষ শহরে বিজয় উল্লাস করেন। সেদিন সকালেই বাংলাদেশের পতাকা উত্তেলন করা হয় জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে গোপালগঞ্জ, মাঝিগাতী, দিগনগর সুকতাইল, ভাটিয়াপাড়া, ফুকরা, রাজাপুর, বৌলতলী, সাতপাড়সহ বিভিন্নস্থানে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুুখ যুদ্ধ হয়।

 

প্রতিবছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস অনুষ্ঠান পালন করা হয়। প্রতিবারের ন্যায় এবারও গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বলে জানান সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর।

 

ভোরের আকাশ/নি