নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চনপাড়ার নতুন ডন শমসেরের নেতৃত্বে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বেধরক পিটিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর শশুর আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগে আওলাদ হোসেন জানান, চনপাড়ার এলাকার শমসের আলী চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। শমসের আলীর সঙ্গে আওলাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে শমসেরের নেতৃত্বে আলী, হেলাল, আপন, মিনারা, শাহাবুদ্দিনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওলাদ হোসেনের বাড়িতে ভাংচুর চালাতে থাকে। এসময় আওলাদের ছেলের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমাইয়া আক্তার ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাকে চুলের মুঠি ধরে বাইরে বের করে এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
এসময় আওলাদের স্ত্রী সেলিনা সুমাইয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও পিটিয়ে আহত করে। এরপর সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানান, চনপাড়ার অঘোষোতি সম্রাট ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু মারা যাওয়ার পর উপ-নির্বাচনের শমসের আলী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় শমসের। বর্তমানে শমসের চনপাড়ার নতুন ডন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জয়নাল গ্রুপ ও শমসের গ্রুপের মাঝে বেশকয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। পরে জয়নাল আইন শঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর চনপাড়া কিছুদিন শান্ত থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে শমসের আবারো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শমসের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জোবায়ের হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/ সু