বড় ধরনের নাশকতার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল পথের নির্জন স্থানগুলোতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ।
শুক্রবার বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চলন্ত ট্রেনে একজন অফিসারসহ পাঁচজন করে পুলিশ কাজ করছে। রাতের বেলায় টর্চ লাইটসহ নিরাপত্তা কর্মী কিলোমিটার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সাথে বিশেষ টহলের ব্যবস্থাও আছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এ নিরাপত্তা শুরু হয়েছে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, টঙ্গী-জয়দেবপুরে ৭ বেঙ্গল থানার ১২ টি রেলস্টেশন রয়েছে। প্রতিটি স্টেশনে ৪ জন করে ৪৮ জন আনসার অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে।
টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ছোটন শর্মা বলেন, আমার অধীন ৫টি রেলওয়ে গেট আছে। প্রতিটি গেটে ৪ জন করে আনসার আছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই ব্রিজ) এলাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রৌহা গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসলাম (৩৫) নিহত হয় এবং ১০ জন আহত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা অক্সি-অ্যাসিটিলিনের ব্যবহার করে গ্যাস কাটার দিয়ে রেললাইন কেটে রাখে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- দুর্বৃত্তরা নাশকতা করতে রেললাইনের একটি অংশ কেটে রেখেছিল।
ভোরের আকাশ/ সু