বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দখলদার বাহিনীর সব দর্প।
বাঙালির সেই ঐতিহাসিক বিজয়ের মূহুর্ত মঞ্চায়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ মহান বিজয় দিবসের ৫২ তম বার্ষিকীতে বিকাল ঠিক ৪টা ৩১ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চায়িত হয় পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ দৃশ্যটি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১।
আত্মসমর্পণ দৃশ্যে মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব চরিত্রে অভিনয় করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি খন্দকার আরাফাত লেলিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
মূলত জেনারেল জ্যাকব ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অব স্টাফ ছিলেন। মেজর জেনারেল ওসমানী বলেছিলেন, আমাকে জেনারেল জ্যাকব গেরিলা যুদ্ধের কথা বলছেন। "একজন সমর নায়ক হিসেবে তিনি বুঝেছিলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলাযুদ্ধ হবে ভালো পন্থা।"
একাত্তরে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণে তিনি মূল ভূমিকা পালন করেন।তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু, মুক্তিযোদ্ধাদের বন্ধু। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন এখানকার মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন।
আত্মসমর্পন দৃশ্যে লেফট্যানেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার চরিত্র রূপায়ন করেন অমিতাভ রায়, লেফট্যানেন্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজির চরিত্রে সুমন মিয়া, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার বীর উত্তম চরিত্রে কাজী সাজ্জাদুর রহমান এবং মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম চরিত্রে ছিলেন সাফিন উজ জামান।
এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন লিপটন ইসলাম, দিগার মোহাম্মদ কৌশিক, নাজমুল হোসেন, তাপস সরকার, এমদাদুল হক বাঁধন ও সৈয়দ হাসিবুল হাসান নাসিফ।
ভোরের আকাশ/আসা