পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সঙ্গে রয়েছে ঘনকুয়াশাও।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ এর মধ্য উঠানামা করছে। শনিবার থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুরু হয় ঘনকুয়াশা। তবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঝলমলে রোদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতের দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকে।
আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭২ ঘণ্টা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অব্যাহত থাকলে সেই পরিস্থিতিকে শৈত্যপ্রবাহ বলে। সে হিসেবে পঞ্চগড়ে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তবে দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকায় ঠান্ডার অনুভূতি কিছুটা কম। রোববার দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) ছিল ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। প্রতিদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়াসহ জেলার সর্বত্র কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। বিশেষ করে যারা সকালে কাজে যোগ দেন, তারা বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন।
শহরের ধাক্কামারা এলাকার পাথর বালু শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, সকাল সকাল আমাদের কাজে যোগ দিতে হয় এবং নদীর পানিতে নেমে পাথর বালু তুলতে হয়। এজন্য আমরা বেশ কষ্টে আছি। ঠান্ডায় সকালে হাত-পা বরফ হয়ে আসে। ঠিকমত কাজ করতে পারি না। এজন্য আমাদের দৈনিক আয় অর্ধেক কমে গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তিনদিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। এ সময় কনকনে শীত অনুভূত হয়। সন্ধার পর থেকে রাতভর বয়ে চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
শনিবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ এর মধ্যে উঠানামা করছে। এ পরিস্থিতিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
ভোরের আকাশ/ সু